৩ দিনের কর্মবিরতিতে বগুড়ার শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা

0
110

ক্যাডার বৈষম্য ও পদোন্নতি সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানসহ পাঁচ দাবিতে বগুড়ায় সরকারি কলেজের শিক্ষকরা টানা তিন দিনের কর্মবিরতি শুরু করেছেন। বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির ডাকে জেলার সব সরকারি কলেজ, সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা ও সরকারি টিচার্স ট্রেনিং সেন্টারে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।

বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারদের এই কর্মবিরতি মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়ে আগামী বৃহস্পতিবার পযর্ন্ত চলমান থাকবে। শিক্ষকদের পাঁচ দফা দাবিগুলো হচ্ছে- ক্যাডার কম্পোজিশনের সুরক্ষা, আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন, পদোন্নতি, পদ সৃজন এবং স্কেল আপগ্রেডেশন।

আন্দোলনরত শিক্ষকরা জানিয়েছেন, তিন দিনের কর্মবিরতির মধ্যে তাদের দাবি মানা না হলে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি কেন্দ্রিয়ভাবে নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

এর আগে একই দাবিতে গত ২ অক্টোবর কর্মবিরতি পালন করেছিলেন সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা। এ ছাড়াও বগুড়া জেলা বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি গত ২৬ সেপ্টেম্বর সারাদেশে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দেয়।

এদিকে তিন দিনের কর্মবিরতির সমর্থনে আজ সকালে বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের শিক্ষকরা পাঠদান থেকে বিরত থেকে প্রশাসনিক কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করেন। ওই কর্মসূচির সমর্থনে জেলার অন্যান্য সরকারি কলেজেও সমাবেশ করা হয়। বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজে সকাল ১০ টার দিকে শুরু হওয়া সমাবেশে শতাধিক শিক্ষক অংশ নেন।

সরকারি আজিজুল হক কলেজের সম্পাদক ডা. গাজী মোহাম্মদ তৌহিদুল আলম চৌধুরি বলেন, আশা করেছিলাম, কর্তৃপক্ষ সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং শিক্ষা ক্যাডারের ন্যায্য দাবিগুলো পূরণ করবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। এ কারণে সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১০, ১১ ও ১২ অক্টোবর টানা তিন দিনের কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে। পাশাপাশি আগামীতে কেন্দ্রীয়ভাবে দেওয়া সিদ্ধান্ত মেনে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে।

বর্তমানে সরকারি কলেজসহ শিক্ষা প্রশাসনে কর্মরত শিক্ষা ক্যাডারে কর্মরত ১৬ হাজার কর্মকর্তার বাইরে আরও ১২ হাজার ৪৪৪টি পদ সৃজনের প্রস্তাব করা হয়। ৯ বছর আগের সেই প্রস্তাব আজও বাস্তবায়ন করা হয়নি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.