ধর্ষণ ও গর্ভপাতের মামলায় ছাত্রলীগের সাবেক কমিটির এক কেন্দ্রীয় নেতা গ্রেপ্তার হয়েছে। তার নাম শাহজাহান ভূঁইয়া। এক তরুণীর মামলায় গতকাল রোববার রাজধানীর পীরেরবাগ এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দু’জনেরই গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায়।
জানা গেছে, শাহজাহান ছাত্রলীগের ২০১৯ থেকে ২০২২ মেয়াদের কমিটির উপকর্মসংস্থানবিষয়ক সম্পাদক ছিল। ওই কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন আল নাহিয়ান খান জয় ও লেখক ভট্টাচার্য। মেয়াদের শেষ পর্যায়ে শাহজাহান কমিটিতে স্থান পায়। এর আগে সে ঢাকা কলেজ শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক ছিল বলে নিশ্চিত করেছেন জয়-লেখক কমিটির সহসভাপতি রানা হামিদ।
ভুক্তভোগী তরুণী জানান, একই জেলার বাসিন্দা হওয়ায় শাহজাহানকে বিশ্বাস করে তার সঙ্গে সমস্যার কথা বলি। এ সময় আইএলটিএস কোর্সে ভর্তি হব শুনে শাহজাহান গত ৬ জুন মোহাম্মদপুরের একটি বাসায় থাকার ব্যবস্থা করে দেয়। সে সময় বাসার মালিকের সঙ্গে তাঁকে স্ত্রী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়। বাসা না পাওয়ার দোহাই দিয়ে কৌশলের আশ্রয় নেয় শাহজাহান।
তরুণী জানান, গত ১৩ জুন ভাড়া বাসায় শাহজাহান তাঁকে ধর্ষণ করে। ওই ঘটনায় শাহজাহান তাঁর কাছে ক্ষমা চায় এবং তাঁকে বিয়ে করার আশ্বাস দেয়। এরপর তাদের মধ্যে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক হয়। পরে ২৬ জুলাই তিনি (তরুণী) বাসায় পরীক্ষা করে দেখেন গর্ভে সন্তান এসেছে। বিষয়টি জানার পর শাহজাহান তাঁকে গর্ভপাতের ওষুধ খাওয়ান। এরপর সে যোগাযোগ ও দেখা-সাক্ষাৎ বন্ধ করে দেয়। বিষয়টি শাহজাহানের পরিবারের সদস্যদের জানানো হলে তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি। পরে শাহজাহান উল্টো প্রাণনাশের হুমকি দিতে থাকে। উপায় না পেয়ে গত ২৯ সেপ্টেম্বর মোহাম্মদপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন তরুণী।
মোহাম্মদপুর থানার ওসি মাহফুজুল হক মিঞা জানান, ধর্ষণ মামলায় শাহজাহান নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে সে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা কিনা জানা নেই। অভিযোগ তদন্তে আসামির ফরেনসিক ও ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে।