বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ শুধু এ দেশের জনগণই নির্ধারণ করবে। চীন চায় বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, ভৌগোলিক অখণ্ডতা এবং অভ্যন্তরীণ বিষয় বাংলাদেশের হাতেই থাকুক। যাতে দেশটি স্থিতিশীলতা রক্ষা ও উন্নয়ন করতে পারে।
চীনের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গতকাল রোববার এ মন্তব্য করেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ-চায়না সিল্ক রোড ফোরাম।
ইয়াও ওয়েন বলেন, বাংলাদেশ ভবিষ্যতে ভালো করবে এবং চীন-বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও উন্নত হবে। অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, চীন ও বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরেই নিজ স্বার্থ ও উদ্যোগের বিষয়ে একে অন্যকে সমর্থন করে আসছে।
সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া বলেন, নতুন রাজনৈতিক মেরূকরণ ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। সেখানে পশ্চিমা বিশ্ব হচ্ছে পড়ন্ত শক্তি। চীন ও রাশিয়ার উত্থান হচ্ছে। কাজেই পশ্চিমা বিশ্ব আমাদের ওপর স্যাংশন দিলেও তা কার্যকর হবে না।
কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি শাহ আলম বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘন করলেও ইসরায়েলকে নিষেধাজ্ঞা দেয় না যুক্তরাষ্ট্র। এটা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির দ্বিচারিতা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, এককেন্দ্রিক বিশ্বের বদলে এখন বহুকেন্দ্রিক বিশ্ব জায়গা করে নিচ্ছে। চীন, ভারতসহ আরও অনেক শক্তির উত্থান ঘটবে।