ভারত থেকে পাচার হয়ে আসা বিপুল পরিমাণ টাপেন্টাডল মাদক জব্দ করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। ইয়াবার বিকল্প হিসেবে দেশে এখন টাপেন্টাডল ট্যাবলেট ব্যবহার করা হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকা থেকে টাপেন্টাডল কারবারে জড়িত চক্রের দুই মূল হোতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ১ লাখ ২১ হাজার টাপেন্টাডল জব্দ করা হয়।
আজ বুধবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রো উত্তরের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. মজিবুর রহমান পাটোয়ারী বলেন, গোপন খবরের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে একটি দল গতকাল বিকেলে অভিযান চালায়। এ সময় কারবারে জড়িত চক্রের দুই মূল হোতা মবিনুর রহমান (৩০) ও তামজীদ পাটোয়ারীকে (২৯) গ্রেপ্তার করা হয়।
মজিবুর রহমান বলেন, তামজীদ পাটোয়ারী ও মবিনুর রহমান ধানমন্ডি এলাকার টাপেন্টাডল কারবারের একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছেন। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে তাঁদের কারবারের কৌশল শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। মবিনুর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য স্নাতক পাস করেছেন। এখন পর্যন্ত উদ্ধার টাপেন্টাডলের মধ্যে সবচেয়ে বড় চালান এটি। জব্দ করা টাপেন্টাডলের দাম সাড়ে আট লাখ টাকা। এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৪২ হাজার ২০০ টাপেন্টাডল উদ্ধার করা হয়েছিল।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ভারতের তেলেঙ্গানা ও গান্ধীনগর এলাকা থেকে টাপেন্টাডলের চালান বাংলাদেশে আনা হয়। প্রশান্ত সাহা নামের একজন মাদক কারবারি কুমিল্লা সীমান্ত থেকে টাপেন্টাডলের চালান সংগ্রহ করেন। তিনি বিভিন্ন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে তা ঢাকায় তামজীদ পাটোয়ারী ও মবিনুর রহমানের কাছে পাঠাতেন। তাঁরা ধানমন্ডি এলাকায় টাপেন্টাডল মজুত করতেন। পরে রাজধানী ঢাকাসহ, মাদারীপুর ও বেশ কয়েকটি জেলা শহরে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করা হতো।