রাজধানীর মোহাম্মদপুরে এক নারী পুলিশ সার্জেন্টের সঙ্গে ধস্তাধস্তি ও মারধরের অভিযোগে করা মামলায় দিলারা আক্তার (৫০) ও তাঁর মেয়ে তাসফিয়া ইসলামকে (২২) জামিন দিয়েছেন আদালত। পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ মা-মেয়েকে মারধর করে উল্টো তাঁদের বিরুদ্ধেই মামলা করেছে। এ ঘটনার একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে চিঠি দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার সংস্থা।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান আজ মঙ্গলবার দিলারা আক্তার ও তাসফিয়া ইসলামের জামিন মঞ্জুর করেন। ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) এশারত আলী জানিয়েছেন, এই মা-মেয়ের পক্ষে জামিন চেয়ে আবেদন করা হলে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে বিরোধিতা করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় দুজনের জামিন মঞ্জুর করেন।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর মোহাম্মদপুরের শিয়া মসজিদ এলাকায় একটি প্রাইভেট কার অবৈধভাবে পার্কিংয়ের জন্য পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছিলেন ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট হাসিনা খাতুন। এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে ওই সার্জেন্টের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান দিলারা আক্তার ও তাঁর মেয়ে তাসফিয়া। একপর্যায়ে দুই পক্ষে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় মা ও মেয়ের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মামলা করেন সার্জেন্ট হাসিনা খাতুন। ওই মামলায় ২৭ সেপ্টেম্বর তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
ঘটনা সম্পর্কে ট্রাফিক সার্জেন্ট হাসিনা খাতুন প্রথম আলোকে বলেন, অবৈধ গাড়ি পার্কিংয়ের অভিযোগে পাঁচ হাজার টাকার মামলা দেওয়ার পর দিলারা আক্তার ছুটে এসে উত্তেজিত হন। এ সময় তাঁকে বুঝিয়ে শান্ত করা হয়। কিন্তু এরই মধ্যে তাসফিয়া এসেই বলেন, ‘আমার গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দিলি কেন?’ এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে তাসফিয়া তাঁর মুখমণ্ডলে আঘাত করেন। তখন তাসফিয়ার মা-ও তাঁকে আক্রমণ করেন।
দিলারা আক্তার ও তাসফিয়া ইসলামকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে রাখা হয়েছে। স্বজনেরা জানিয়েছেন, জামিনের আদেশ কারাগারে পৌঁছার পর প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে আগামীকাল সকালে তাঁরা কারাগার থেকে মুক্তি পেতে পারেন।