রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে প্রতিদিন হাজার হাজার গোলা খরচ করছে ইউক্রেন বাহিনী। এই গোলাবারুদের বেশির ভাগই সরবরাহ করছে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো। তবে ন্যাটো ও যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইউক্রেনকে দেওয়ার মতো গোলাবারুদের সংকটে রয়েছে তারা।
পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশয়ে চলমান ওয়ারশ সিকিউরিটি ফোরামে ন্যাটোর সর্বজ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা অ্যাডমিরাল রব বাউয়ার বলেন, ‘পাত্রের তলার অংশটা এখন দেখা যাচ্ছে।’ তিনি পশ্চিমা দেশগুলোর সরকার ও সমরাস্ত্র উৎপাদনকারীদের কাছে আরও দ্রুত গতিতে অস্ত্র উৎপাদনের আহ্বান জানান।
ফোরামে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস হিপ্পি বলেন, পশ্চিমা সামরিক বাহিনীর গোলাবারুদের মজুত কিছুটা কম বলে মনে হচ্ছে। তবে এ জন্য ইউক্রেনকে সহায়তা করা থেকে সরে যাওয়া যাবে না। সহায়তা চালিয়ে যেতে হবে। পশ্চিমারা থেমে যাওয়া মানে এই নয় যে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও থেমে যাবেন।
দীর্ঘমেয়াদে ইউক্রেনকে সহায়তা চালিয়ে যেতে ইউরোপের জন্য নিজেদের প্রতিরক্ষা শিল্পকে আরও গুছিয়ে নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন সুইডেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পল জনসন। ফোরামে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘কারণ, গোলাবারুদের জোগান দিতে গিয়ে আমার মজুত অনেকটা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।’
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা দপ্তর জানিয়েছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার অভিযান শুরু করার পর থেকে ইউক্রেনকে ৩ লাখের বেশি কামানের গোলা দিয়েছে তারা। চলতি বছরের শেষ নাগাদ দেশটিকে আরও কয়েক হাজার গোলা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা। আর একই সময়ে ইউক্রেনকে ২০ লাখের বেশি কামানের গোলা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর।