আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় বন্দুকধারীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে আটজনের প্রাণ গেছে। এ সময় অপহরণ করা হয়েছে স্থানীয় দুটি সম্প্রদায়ের অন্তত ৬০ জনকে। গতকাল রোববার দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জামফারা প্রদেশে এ ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় লোকজন ও সম্প্রদায়ের নেতারা জানান, এর দুই দিন আগে বন্দুকধারীরা ওই প্রদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কয়েকজনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
এ ছাড়া নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে একটি সামরিক বহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুই সেনাসদস্য ও চার বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। হামলাকারীরা বহরের পাঁচটি গাড়িতে আগুন দিয়েছে। একটি ট্রাক সঙ্গে করে নিয়ে চলে গেছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে নাইজেরিয়ায় এমন হামলার ঘটনা বেড়েছে। এসব হামলা ও রক্তপাত বন্ধে কার্যকর কৌশল নিতে পারেননি দেশটির প্রেসিডেন্ট বোলা তিনুবু। তাঁর অর্থনৈতিক সংস্কার প্রচেষ্টার জেরে দেশটিতে জীবনযাপনের ব্যয় অনেকটাই বেড়ে গেছে। আর এটাই নাইজেরিয়ার মানুষকে বিক্ষুব্ধ করে তুলেছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, গতকাল সকালে বন্দুকধারীরা জামফারা প্রদেশের প্রত্যন্ত মাগামি এলাকায় একটি সেনাশিবিরে হামলার চেষ্টা করেছিল। নাইজেরিয়ার যেসব প্রদেশে মানুষকে অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনা বেশি দেখা যায়, তার একটি এই জামফারা।
জানা গেছে, বন্দুকধারীরা তিনটি দলে ভাগ হয়ে সেখানকার সেনাশিবির এবং মাগামি ও কাবাসা সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালায়।
নিরাপত্তার কারণে নাম গোপন রাখার শর্তে স্থানীয় এক নেতা বলেন, বন্দুকধারীরা ৬০ জনকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। তাঁদের মধ্যে নারী ও শিশুই বেশি। স্থানীয় মাগামি সম্প্রদায়ের শুয়াইবু হারুনা টেলিফোনে রয়টার্সকে বলেন, বন্দুকধারীরা মোটরসাইকেল নিয়ে এসেছিল।
এ ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে নাইজেরিয়ার পুলিশ ও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।