পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন আগামী বছর জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে। আজ বৃহস্পতিবার দেশটির নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) এই ঘোষণা দিয়েছে।
ইসিপি এক বিবৃতিতে বলেছে, নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণকাজের পর্যালোচনা চলছে। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর নির্বাচনী সীমানার প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হবে। খবর ডনের।
নির্বাচনী প্রচারণা বিষয়ে আপত্তি ও পরামর্শ শোনার পর ৩০ নভেম্বর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। কমিশন জানিয়েছে, ৫৪ দিনের নির্বাচনী প্রচারণা কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর আগামী জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
গত ৯ আগস্ট জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের কথা দেশটির সংবিধানের ৪৮ (৫) অনুচ্ছেদে বলা আছে। জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার ৮৯তম দিন আগামী ৬ নভেম্বর।
সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণের ক্ষমতা প্রেসিডেন্টকে দেওয়া হয়েছে। গত ১৩ সেপ্টেম্বর সিইসি সিকান্দার সুলতান রাজাকে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা মেনে আগামী ৬ নভেম্বর সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের জন্য চিঠি লিখেছিলেন প্রেসিডেন্ট আলভি।
উল্লেখ্য, গত বছরের এপ্রিলে পার্লামেন্টের অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতা হারান প্রধানমন্ত্রী ও পাকিতস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতা ইমরান খান। এরপর পাকিস্তানজুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দেয়। একের পর এক মামলায় জড়ানো হয় ৭০ বছর বয়সী সাবেক ক্রিকেট তারকা ইমরানসহ পিটিআইয়ের শীর্ষ নেতাদের। মামলার কারণে পাকিস্তানের আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে কারাবন্দী ইমরানর অংশ নেওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।