‘ঘুমর’ এমন এক নারী ক্রিকেটারকে ঘিরে, যিনি এক হাত নিয়েও ব্যাটে-বলে ঝড় তোলেন। সিনেমাটিতে সায়ামি এক হাতে ক্রিকেট খেলে বিষেণ সিং বেদি থেকে শচীন টেন্ডুলকার—সবার প্রশংসা কুড়িয়েছেন। শুধু তা–ই নয়, তাঁর অভিনয় চিত্রসমালোচকদেরও মন জয় করেছে। তাই এই অভিনেত্রীর সঙ্গে আলাপচারিতার শুরুতেই উঠে এসেছিল তাঁর সাফল্যের কথা। ক্রিকেটার থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের প্রশংসা কেমন লাগছে? জবাবে সায়ামি স্মিত হেসে বলেন, ‘অনেক ক্রিকেটার আমার বোলিংয়ের প্রশংসা করেছেন। সত্যি বলতে দুর্দান্ত অনুভূতি। শচীন টেন্ডুলকার ক্রিকেটের ঈশ্বর। তাঁর কণ্ঠে নিজের প্রশংসা শোনা অনেক বড় প্রাপ্তি। আমার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা তিনিই। দর্শক আমার অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন। সব মিলিয়ে দারুণ লাগছে।’
বাস্তব জীবনেও সায়ামি ক্রিকেট খেলতেন। ডানহাতি খেলোয়াড় হিসেবে কলেজজীবনে তাঁর বেশ নামডাক ছিল। ঘুমর ছবিতে বাঁ হাতে খেলে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে সায়ামি বলেন, ‘বাঁ হাতে ক্রিকেট খেলা আমার জন্য কঠিন ছিল। সত্যিকারের ক্রিকেটারদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে খেলতে হয়েছে। দশ ঘণ্টা ডান হাত বেঁধে রাখতাম। বাঁ-হাতে রান্না করা থেকে বাড়ির সব কাজ আমি করতাম। তবে এই ছবির ক্ষেত্রে মানসিক চ্যালেঞ্জ অনেক বেশি ছিল।’
ছবিতে অভিষেক বচ্চন কোচের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। অভিষেক অভিনীত চরিত্রটি সায়ামিকে সাহায্য করে। ব্যক্তিগত জীবনে কে বা কারা সায়ামির পাশে থাকেন? অভিনেত্রীর জবাব, ‘জীবনের চরম বিপর্যয়ের সময় যাঁরা পাশে থাকবেন, তাঁরাই সবচেয়ে বড় সাপোর্ট সিস্টেম বলে আমি মনে করি। আমার সাপোর্ট সিস্টেম আমার পরিবার।
এ ছাড়া স্কুলের চার-পাঁচজন বন্ধু আজও আমার পাশে একই রকমভাবে আছে। তাঁদের হাত সব সময় শক্ত করে ধরে থাকি। কোনো বড় ছবির জন্য সাইন করলে, নতুন আত্মীয়-বন্ধু আমার জীবনে হঠাৎ উদয় হন। ছবি না চললে তাঁরা আবার গায়েব হয়ে যান (সশব্দ হেসে)। তাই প্রকৃত বন্ধু কে, তা জানা প্রয়োজন। বিশেষ করে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে, যেখানে পদে পদে অনিশ্চয়তা।’
তবে বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে সায়ামির বেশ কিছু ভালো বন্ধু আছেন। তিনি বলেন, ‘ইন্ডাস্ট্রিতে আসার আগে থেকেই অঙ্গদ (বেদি) আমার ভালো বন্ধু। তাপসী (পান্নু) আমার খুব খেয়াল রাখে। অনুরাগ (কাশ্যপ)স্যার , বালকি স্যার তাঁরা আমার বন্ধু তথা পরিবারের মতো। আমি জানি, এ বি (অভিষেক বচ্চন) আমার ব্যাপারে খুবই রক্ষণশীল।’
কথায় কথায় সায়ামি জানান, ব্যক্তিগত জীবনে তিনি অন্তর্মুখী। নিজের আবেগ সবার কাছ থেকে আড়ালে রাখতে ভালোবাসেন। এই অভিনেত্রীর কথায়, ‘ছোটবেলায় মা–বাবা বকাবকি করলে আমি বাথরুমের দরজা বন্ধ করে কাঁদতাম। এমনকি নিজের খুশি কারও সামনে প্রকাশ করতে পারি না। বলতে পারেন আমি চাপা স্বভাবের মেয়ে।’