অবশেষে চাঁদপুর শহর সংরক্ষণ পুনর্বাসন প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে সরকার। ৮২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে আগামী অক্টোবর মাস থেকে ২০২৭ সালের জুন মাস পর্যন্ত মেয়াদে বাস্তবায়নের প্রস্তাব মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে একনেকের সভায় অনুমোদন হয়। এই অনুমোদনের ফলে চাঁদপুর শহর রক্ষা প্রকল্পের মেঘনার ভাঙনের মুখে ৩ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার নদীতীর ব্লক বেষ্টন করে পুরো শহরকেই ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করা যাবে বলে জানান চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী মো. জহুরুল ইসলাম।
তিনি জানান, স্থায়ী এই প্রকল্পে শহরের নতুনবাজার অংশের বড় ষ্টেশন মোলহেড এলাকাসহ তৎসংলগ্ন ১ হাজার ৭৩০ মিটার এবং পুরানবাজার এলাকার ১ হাজার ৬৩০ মিটার মেঘনা নদীতীর। এই কর্মকর্তা আরো জানান, ১৯৭২ থেকে ১৯৯০ সালের পর বর্তমান সরকার ২০০৮ সালে ক্ষমতায় এসে চাঁদপুরের হাইমচরসহ অন্যান্য সুবিশাল এলাকায় কয়েক শত কোটি টাকার স্থায়ী কাজ সম্পন্ন হলেও শহর এলাকার এই প্রকল্পের অংশে জরুরি মেরামত কার্যক্রম ছাড়া কোনো কাজ হয়নি। কিন্তু বিগত বছরগুলোতে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে কর্মতৎপরতা অব্যহত ছিল। কিন্তু গত ২/৩ বছরের করোনা মহামারি এবং প্রকল্প নিয়ে উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা পর্যালোচনায় সময় গড়িয়ে যায়।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী বলেন, ‘সবশেষ পানি উন্নয়ন বোর্ড এখানের সংসদ সদস্য শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সার্বিক সহায়তায় এই প্রকল্প একনেকে অনুমোদন করতে পেরেছি। আর প্রধানমন্ত্রী নিজেও এটির জন্য যথেষ্ট আন্তরিক ছিলেন। আগামী অক্টোবর কিংবা নভেম্বরের দিকে এই কাজ শুরু করতে পারব।’ এদিকে এই বৃহৎ এবং স্থায়ী প্রকল্প অনুমোদন দেওয়ায় চাঁদপুরের জেলা আওয়ামী লীগ ও শহরবাসী প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, চাঁদপুরের মানুষ প্রতি বর্ষা এবং বর্ষার পানি নেমে যাওয়ার সময় আতঙ্কে থাকেন। বিশেষ করে বর্ষার ৩/৪ মাস সময়ে মেঘনা নদী থাকে প্রচণ্ড উত্তাল। নতুন বাজার বড় ষ্টেশন মোল হেড এবং পুরানবাজার এলাকার কয়েক লাখ মানুষের দিন কাটে আতঙ্কে।
এ দিকে চাঁদপুরে নদী ড্রেজিংয়ের জন্য একই প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপে নদী শাসনে ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা ধরা হয়। তবে তা বিদেশি ডোনার পেলে বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করা হচ্ছে যা পরবর্তীতে একনেকের বিবেচনার জন্য উপস্থাপিত হবে বলে পাউবো জানায়।