অবশেষে আড়াই মণ স্বর্ণ ফিরে পাচ্ছেন ৬১ মালিক

0
154
সোনা

চট্টগ্রামে দেড় যুগ আগে আড়াই মণ স্বর্ণ জব্দ করেছিল যৌথ বাহিনী। সেই স্বর্ণের মালিকানা দাবি করেছিল দুটি পক্ষ। প্রকৃত মালিক শনাক্তে বিষয়টি গড়ায় আদালতে। এ নিয়ে প্রায় দুই দশক চলে আইনি লড়াই। অবশেষে বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়েছে। নথিপত্র ঘেঁটে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে জব্দ পণ্যগুলো। ইতোমধ্যে ১৩ কেজির মতো বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

মামলার নথি বলছে, ২০০৪ সালের ১২ আগস্ট নগরীর বক্সিরহাট সংলগ্ন হাজারি গলিতে নাথ জুয়েলার্সে অভিযান চালান যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। তখন ১০৪ কেজি স্বর্ণালংকার, পাঁচ কেজি রুপা ও নগদ টাকা জব্দ করা হয়। ওই ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে স্বর্ণগুলো ফিরে পেতে আবেদন করেন নাথ জুয়েলার্স এবং ৬১ ক্ষুদ্র স্বর্ণ দোকানি। এ নিয়ে আইনি লড়াই ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, মহানগর দায়রা জজ আদালত, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট, সর্বশেষ আপিল বিভাগে গড়ায়। আপিল বিভাগ থেকে স্বর্ণ গচ্ছিত রেখে ধার নেওয়া অর্থ সুদ-আসলে পরিশোধের শর্তে জব্দ পণ্যগুলো ৬১ দোকানিকে বুঝিয়ে দেওয়ার নির্দেশ আসে।

সেই আদেশ অনুযায়ী চট্টগ্রামে বাংলাদেশ ব্যাংকের গোডাউন থেকে স্বর্ণগুলো ফিরিয়ে দিচ্ছেন চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। ২৩ আগস্ট থেকে এক-দুজন করে জব্দ তালিকা দেখে স্বর্ণগুলো মালিকের হাতে বুঝিয়ে দিচ্ছেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অল্লি উল্ল্যাহ ও সাদ্দাম হোসেন, কোর্ট পুলিশের জিআরও কোতোয়ালি থানা পুলিশের এসআই আবছার উদ্দিন রুবেলসহ একটি বিশেষ দল।

এসআই আবছার জানান, ১০৪ কেজির মধ্যে ইতোমধ্যে ১৩ কেজির মতো স্বর্ণ বুঝিয়ে দিতে পেরেছি। আট শতাধিক পাতার জব্দ তালিকা দেখে সব স্বর্ণ বুঝিয়ে দিতে মাসখানেক লাগতে পারে। প্রতিদিন লালদীঘির পাড়ে অবস্থিত বাংলাদেশ ব্যাংকের গোডাউন থেকে জব্দ পণ্য ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

নাথ জুয়েলার্সের মালিক সঞ্জয় কুমার নাথ বলেন, আমাদের পাওনা অর্থ ফেরত দেওয়া সাপেক্ষে ৬১ জনকে স্বর্ণ বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমরা পে অর্ডারের মাধ্যমে টাকা বুঝে পাওয়ার পরই স্বর্ণগুলো ফেরত দিচ্ছে পুলিশ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.