৩৪টি বিষয়ে সর্বোচ্চ গ্রেড পেয়ে নতুন রেকর্ড গড়েছে ১৬ বছরের এক কিশোরী। তার নাম মাহনুর চিমা। সে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ কিশোরী। লন্ডনে জেনারেল সার্টিফিকেট অব সেকেন্ডারি এডুকেশন (জিসিএসই) স্তরের পরীক্ষায় এ সাফল্য পেয়েছে ওই কিশোরী। এ সাফল্যের পর মাহনুর চিমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন দেশটির সাবেক দুই প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ও শাহবাজ শরিফ।
মাহনুরের সাফল্য নিয়ে শাহবাজ শরিফ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স–এ (সাবেক টুইটার) টুইট করেছেন। টুইটে লিখেছেন, ‘মাহনুর চিমার মতো উজ্জ্বল মনের যুবাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ সব সময়ই আনন্দের। গণিত, জ্যোতির্বিদ্যা, ফ্রেঞ্চ, ল্যাটিনসহ ৩৪ বিষয়ে এ প্লাস অর্জন করে মাহনুর কেবল আমাদের সবাইকে গর্বিতই করেনি, বরং আমাদের শিশুদের জন্য দুর্দান্ত উদাহরণও তৈরি করেছে।’
শাহবাজ আরও বলেছেন, ‘গত এক দশকে আমি ইনাম উল্লাহ-ড্যনিশ স্কুল থেকে মালালার মতো যারা অনুপ্রেরণার উৎস, অনেক মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীর দেখা পেয়েছি। এসব ব্যতিক্রমী সাফল্যের গল্প পাকিস্তানিদের আরও বেশি এগিয়ে নেবে এবং তাদের স্বপ্নগুলো অর্জনে আরও অনুপ্রাণিত করবে।’
শান্তিতে নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাইও মাহনুরের সঙ্গে দেখা করেছেন। সেই ছবি নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডল থেকে পোস্ট করেছেন মালালা। সেই পোস্টে ১৬ বছরের কিশোরীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মালালা। মালালা বলেছেন, ‘চমৎকার ফলাফলের জন্য অভিনন্দন। তোমার নিষ্ঠা, পরিশ্রম ও বুদ্ধিমত্তা সত্যিই অতুলনীয়। আমি জানি, তমি একাডেমিক এবং জীবনের সবদিকে শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রাখবে।’
লন্ডনে পাকিস্তান হাইকমিশন মাহনুর চিমাকে ‘বিশ্বব্যাপী তরুণীদের জন্য অনুপ্রেরণা’ বলে অভিহিত করেছে। তার কৃতিত্বকে সম্মান জানানোর জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছে মাহনুর।
জিও নিউজের খবরে বলা হয়েছে, মাহনুর চিমা মা–বাবা, ভাই–বোনদের সঙ্গে নিয়ে লন্ডনের স্ট্যানহপ হাউসে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ও শাহবাজ শরিফের সঙ্গে দেখা করেছিল। পাকিস্তানের দুই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে উচ্ছ্বসিত চিমা বলে, ‘আমি গর্বিত যে তাঁদের কাছ থেকে উপহার (অ্যাপলের ম্যাকবুক প্রো) পেয়েছিলাম।’
দুজনের (নওয়াজ শরিফ ও শাহবাজ শরিফ) কাছ থেকে অত্যন্ত সদয় আচরণ ও ভালোবাসা পেয়ে উচ্ছ্বসিত মাহনুর। সে তাদেরকে ‘অনুপ্রেরণাদায়ক নেতা’ বলেছে। ব্যক্তিগতভাবে তার সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় বের করায় নওয়াজ ও শাহবাজকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সে।
সেকেন্ডারি এডুকেশনের জেনারেল সার্টিফিকেট (জিসিএসই) হলো একটি শিক্ষাগত যোগ্যতার পরীক্ষা, যা ইউকেতে অত্যন্ত মূল্যবান।