যুদ্ধের ভয়াবহতা এড়াতে গত বছর নিজের স্টারলিংক স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক ইউক্রেনকে ব্যবহার করতে দেননি প্রতিষ্ঠানটির মালিক ও বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। তিনি বলেন, রুশ অধিকৃত ক্রিমিয়ার ওপর স্টারলিংক যোগাযোগ নেটওয়ার্কে প্রবেশাধিকার দিতে ইউক্রেনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিলেন তিনি। যাতে করে যুদ্ধের প্রধান কাজ হামলায় জড়িত হতে না হয়। ক্রিমিয়ার প্রধান রুশ নৌবন্দর এলাকা সেভাস্তোপলে স্টারলিংক সক্রিয় করতে জরুরি অনুরোধ পাঠিয়েছিল কিয়েভ। কিন্তু তাতে তিনি রাজি হননি। খবর বিবিসির
রুশ জাহাজে ড্রোন হামলা ব্যর্থ করার জন্য মাস্ক স্টারলিংক বন্ধ করে দিয়েছিলেন বলে একটি বইয়ের অভিযোগের পর মাস্ক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এ কথা জানান। তিনি কোনো সংযোগ বন্ধ করেননি বলেও দাবি করেন।
ইউক্রেনের এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত রাশিয়ার আক্রমণকে সহায়তা করেছে। রাশিয়ার নৌবাহিনীর জাহাজগুলো তখন থেকে ইউক্রেনের বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ব্যাপক হামলায় অংশ নিয়েছিল।
এর জবাবে মাস্ক বলেন, আমি যদি তাদের অনুরোধে সম্মত হতাম, তাহলে স্পেসএক্স স্পষ্টভাবে যুদ্ধ এবং সংঘাত বৃদ্ধির একটি বড় কাজে জড়িত হতো।
২০১৪ সালে ক্রিমিয়াকে অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছিল রাশিয়া।
এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার ভাড়াটে সেনা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হত্যা করেছেন। এই প্রমাণ তাদের কাছে রয়েছে। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
গত মাসের শেষ দিকে রাশিয়ায় উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে প্রিগোজিন ও তাঁর বাহিনীর কয়েক শীর্ষ কমান্ডার নিহত হন।
জেলেনস্কি বলেন, সত্য হলো, পুতিন প্রিগোজিনকে হত্যা করেছেন। অন্তত তাদের কাছে এ তথ্যই আছে। অন্য কোনো তথ্য নেই। আর বাস্তব বিষয় হলো, তিনি দুর্বল। প্রিগোজিনের মৃত্যুর পেছনে পুতিনের হাত রয়েছে– জেলেনস্কি এমন দাবি করলেও তিনি তাঁর বক্তব্যের সমর্থনে কোনো প্রমাণ হাজির করেননি। ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা এ দুর্ঘটনার সম্ভাব্য সব কারণ খতিয়ে দেখবে।