আফগানিস্তান ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান নাজমুল শান্ত ইনজুরিতে ছিটকে গেছেন। অন্য সেঞ্চুরিয়ান মেহেদী মিরাজ পাকিস্তানের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে নেমে শূন্য করেন। রান পাননি লিটন-হৃদয়রা। পঞ্চাশের আগে চার উইকেট হারানো দলকে ১০০ রানের জুটি দেন সাকিব ও মুশফিক। দু’জনই ফিফটি করে ফিরতেই ৩৮.৪ ওভারে ১৯৩ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ।
বুধবার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং নেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে আট ব্যাটার নিয়েও বিপর্যয় সামলে সংগ্রহ বড় করতে পারেনি তার দল। শুরুতে বিপর্যয়ের পর শেষে বিপর্যয়ে পড়ে অলআউট হয়েছে তার দল।
এদিন নাঈম শেখের সঙ্গে ওপেনিং করেন মেক শিফট ওপেনার মিরাজ। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারে নাসিম শাহ প্রথম বলেই ক্যাচ দেন তিনি। গোল্ডেন ডাক মারেন এই ডানহাতি অলরাউন্ডার। জ্বর থেকে সুস্থ হয়ে লাহোরে গিয়ে তিনে ব্যাটিং করেন লিটন দাস। কিন্তু শান্তর অভাব পূরণ করতে পারেননি তিনি। বাইরের বলে ব্যাট দিয়ে ফিরে যান ১৩ বলে চারটি চারের শটে ১৬ রান করে।
এরপর ওপেনার নাঈম ২৫ বলে ২০ রান করে পুল শট খেলতে গিয়ে ত্রিশ গজের মধ্যে ক্যাচ দেন। তার ব্যাট থেকে চারটি চারের শট আসে। পাঁচে নামা হৃদয় ২ রানে বোল্ড হলে ৪৭ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে ফিফটি করে সাকিব দলের ১৪৭ রানে আউট হন। তার ব্যাট থেকে আসে ৫৭ বলে ৫৩ রান। পুল খেলতে গিয়ে সীমানায় ধরা পড়েন তিনি।
মুশফিকের সঙ্গে জুটি গড়ার দায়িত্ব পড়ে তরুণ শামীম পাটোয়ারির কাঁধে। কিন্তু তিনিও ব্যর্থ হন। এক ছক্কা মারার পরে আবার তুলে খেলতে গিয়ে ১৬ রানে ধরা পড়েন তিনি। এরপর মুশফিক দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৪ রান করে আউট হলে অলআউটের পথে পা বাড়ায় বাংলাদেশ। তিনি দলের ১৯০ রানে আউট হন। তিন রানের মধ্যে বাকি তিন উইকেট হারায় হাথুরুসিংহের দল।
পাকিস্তানের দুই ডানহাতি পেসার নাসিম শাহ ও হ্যারিস রউফ বাংলাদেশের ইনিংস ধসিয়ে দিয়েছেন। রউফ ৬ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন চারটি উইকেট। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের মাত্র ২৭ ম্যাচে উইকেটের ফিফটি ছাড়িয়ে গেছেন তিনি। নাসুম ৩৪ রান দিয়ে নিয়েছেন তিন উইকেট। এছাড়া শাহিন আফ্রিদি, ফাহিম আশরাফ ও ইফতিখার একটি করে উইকেট নিয়েছেন।