প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাপান চাইলে শিল্প স্থাপনের জন্য রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) তাদের আরও জায়গা বরাদ্দ করবে বাংলাদেশ। জাপানের অনেক কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী বলে দেশটির একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করলে তিনি এ কথা বলেন।
মঙ্গলবার হাউজ অব কাউন্সিলরের সাধারণ বিষয়ক কমিটির পরিচালক নাকানিশি ইউসুকের নেতৃত্বে জাপানের পাঁচ সদস্যের সংসদীয় প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। খবর বাসসের।
জাপান মেট্রোরেলসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্পে কাজ করছে উল্লেখ করে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বলেন, জাপান অবকাঠামোগত উন্নয়নে, বিশেষ করে বাংলাদেশের মেগা প্রকল্পে অবদান রাখছে। ঢাকা ও নারিতা সরাসরি ফ্লাইট চালুর প্রশংসা করে তারা বলেন, এতে যোগাযোগের উন্নতি হবে।
বৈঠকে জাপানের প্রতিনিধি দল ভারত মহাসাগরকে ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য শান্তিপূর্ণ রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেয়। তারা নারীর ক্ষমতায়ন ও শিক্ষায় বাংলাদেশের সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করে।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের মেয়েরা ছেলেদের তুলনায় অনেক বেশিসংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে। আমরা মেয়েদের বিনামূল্যে শিক্ষা দিচ্ছি। এ সময় শেখ হাসিনা দেশে সামুদ্রিক অ্যাকোয়ারিয়াম নির্মাণে জাপানের সহায়তা চান।
এর আগে নিপ্পন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইয়োহেই সাসাকাওয়া গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাসাকাওয়া প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের সহায়তার জন্য নিপ্পন ফাউন্ডেশন ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দেবে।
শেখ হাসিনা বলেন, মিয়ানমার আমাদের প্রতিবেশী দেশ। আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছি। তাদের নাগরিকদের অবশ্যই নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি উপস্থিত ছিলেন।
