বরিশাল জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক ও বিদায়ী সিটি কাউন্সিলর এ. কে. এম. মর্তুজা আবেদীনকে রিভলবারসহ আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রইছ আহম্মেদ মান্না। রোববার বেলা ১২টার দিকে নগরীর পোর্ট রোডে ভূমি অফিসের সামনে দুজনের ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে মান্না তার সহযোগীদের নিয়ে মর্তুজাকে ধরে ফেলেন। পরে পুলিশ গিয়ে মর্তুজাকে থানায় আনে।
মতুর্জা বলছেন, রিভালভারটি লাইসেন্স করা। মান্না হামলা করে তার রিভলভারটি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল।
রইছ আহম্মেদ মান্না বিদায়ী সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর ‘ছয় খলিফা’ খ্যাত ছয়জন অনুসারীর অন্যতম। মান্না গত ১৫ জুনের নির্বাচনে ২ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ছিলেন। তার মনোনয়পত্র বাতিল হলে তার ভাই মুন্না জাপা নেতা মর্তুজাকে পরাজিত করেন। মতুর্জা ২ নম্বর ওয়ার্ডে টানা পাঁচবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মান্না ও মর্তুজার বিরোধ প্রকাশ্যে চলে এসেছে। নৌকার বিরোধিতা করে তোপের মুখে পড়েন মান্না তখনকার ছাত্রলীগ আহ্বায়ক মান্না। গ্রেপ্তার হয়ে নির্বাচনের সময়ে কারাগারে ছিলেন তিনি।
মর্তুজা জানান, পারিবারিক জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি রোববার পোর্ট রোড ভূমি অফিসে গিয়েছিলেন। দপ্তরের ভবন থেকে বের হযে প্রধান ফটকে যাওয়ার সময় সেখানে আগে থেকে অপেক্ষামান মান্না ও তার সহযোগীরা তার ওপর হামলা করেন। হামলাকারীরা তার পকেটে থাকা রিভলভারটি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি দৌড়ে একটি ইজিবাইকে উঠলে মান্না ও তার সহযোগীরা জোরজবরদস্তি করে তার রিভলভারটি ছিনিয়ে নেয়। তখন সেখানে থাকা ট্রাফিক পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে থানায় আনে।
অভিযোগের বিষয়ে রইজ আহম্মেদ মান্না বলেন, ‘আমিও ব্যক্তিগত কাজে ভূমি অফিসে গিয়েছিলাম। মতুর্জার সঙ্গে দেখা হলে আমাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং একপর্যায়ে রিভলভার বের করে হত্যাচেষ্টা চালায় মর্তুজা। তখন জনতা তাকে আটক করেছে।’
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘মতুর্জাকে রিভলভারসহ আটক করে থানায় আনা হয়েছে। রিভালভারটি লাইসেন্সকৃত কিনা তা যাচাইবাছাই করা হচ্ছে। তার বিষয়ে আইনি পদক্ষেপের কোনো সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি।’
এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। নবনির্বাচিত কাউন্সিলর মুন্না আগামী ১৪ নভেম্বর শপথ নেবেন। এর আগ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করছেন বিদায়ী কাউন্সিলর এ. কে. এম. মর্তুজা আবেদীন।

















