ঢাকার শেয়ারবাজারের লেনদেন দীর্ঘদিন ধরে গুটিকয় শেয়ারে সীমাবদ্ধ হয়ে আছে। মঙ্গলবার ডিএসইতে ৩২০ কোম্পানির শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। লেনদেনে শীর্ষ ২০টির কেনাবেচার পরিমাণ ছিল ২৩৪ কোটি টাকা, যা মোটের প্রায় ৬০ শতাংশ। অন্যদিকে ক্রেতার অভাবে ৭২টি শেয়ারের লেনদেনই হয়নি।
খাতওয়ারি লেনদেনের শীর্ষে ছিল খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত। এ খাতের ২০ কোম্পানির লেনদেন ছিল ১০০ কোটি টাকার বেশি, যা মোটের ২৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। আবার এ খাতের প্রায় ৮০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে তিন কোম্পানির। এগুলো হলো– ফু-ওয়াং ফুড, এমারেল্ড অয়েল ও জেমিনি সি ফুড। ফু-ওয়াং ফুডের ৩৫ কোটি ৮৩ লাখ টাকা, এমারেল্ড অয়েলের প্রায় ২৮ কোটি টাকা এবং জেমিনির প্রায় ১৬ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে অস্বাভাবিক দরবৃদ্ধির কারণে আলোচনায় আছে এই তিন কোম্পানি। গতকাল এমারেল্ড অয়েলের দর পৌনে ৬ শতাংশ বেড়ে ১৬৫ টাকা ৯০ পয়সায় উঠেছে। জেমিনি সি ফুডসের দর দেড় শতাংশ এবং ফু-ওয়াং ফুডসের দর আধা শতাংশ বেড়েছে।
মাত্র তিন মাসে ৩২ থেকে ১৮৮ টাকায় উন্নীত হওয়া এমারেল্ড অয়েলের দর দেড় মাস ধরে কিছুটা ওঠানামার মধ্যে আছে। জেমিনি সি ফুডসের দর গত ৯ কার্যদিবসে ১১২ টাকা বেড়ে ৭৭৮ টাকা ছাড়িয়েছে। এ ছাড়া ফু-ওয়াং ফুডসের দর মাত্র ১০ কার্যদিবসে দ্বিগুণ হয়ে গত ১৬ জুলাই ৪৬ টাকা ৯০ পয়সায় ওঠে। পরের এক মাস প্রায় টানা দরপতনে ফের ২৫ টাকায় নামে। দুই সপ্তাহ ধরে শেয়ারটির দর আবার বাড়ছে। গতকাল সর্বশেষ কেনাবেচা হয়েছে ৩৬ টাকা ২০ পয়সায়।
শেয়ারবাজারসংশ্লিষ্টরা জানান, সিংহভাগ শেয়ার ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকায় লেনদেনে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ খুবই কম। বাজার জুয়াড়ি চক্র গুটিকয় শেয়ার নিয়ে কারসাজি করছে। গতকাল ডিএসইতে ৩৩টি শেয়ারের দর বেড়েছে, কমেছে ১২৭টি এবং অপরিবর্তিত ছিল ১৬০টির দর। ডিএসইএক্স সূচক ৮ পয়েন্ট হারিয়ে ৬২৯০ পয়েন্টে নেমেছে।