কক্সবাজারের কুতুবদিয়া চ্যানেলে এক জেলের বড়শিতে ৯১ কেজি ওজনের একটি বোল মাছ ধরা পড়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেলে মাছটি ধরা পড়ে।
টেকনাফ ফিশারিজের মালিক নুরুল হাকিম মাছটি ৬০ হাজার টাকায় কিনে এখন লাখ টাকা দাম হাঁকান। পরে স্থানীয় এক মাছ ব্যবসায়ীর কাছে মাছটি বিক্রি করেন। আজ মঙ্গলবার বিকেলে নুরুল হাকিম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জেলের বরাত দিয়ে নুরুল হাকিম বলেন, গতকাল দুপুরের দিকে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেলে মাছ ধরার জন্য বড়শি ফেলা হয়। এ সময় আরও বিভিন্ন প্রজাতির কিছু মাছ ধরা পড়ে বড়শিতে। ফেরত আসার কিছুক্ষণ আগে শেষবারের মতো লইট্টা মাছের একটি টুকরা দিয়ে বড়শি ফেললে বড় বোল মাছটি ধরা পড়ে।
নুরুল হাকিম আরও বলেন, ট্রলারের জেলেদের সহযোগিতায় মাছটি টেনে ট্রলারে ওঠানো হয়। মাছটির ওজন ছিল ৯১ কেজি। মাছের দাম চাওয়া হয়েছিল ৭৫ হাজার টাকা। পরে নুরুল হাকিম মাছটি ৬০ হাজার টাকায় কিনে নেন। এরপর টেকনাফে এনে মাছটি ৭৭ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী ঈমান হোসেনের কাছে।
মাছ ব্যবসায়ী ঈমান হোসেন বলেন, টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালীয়াপাড়ার ঘাটের নুরুল হাকিমের ফিশারিজ থেকে ৯১ কেজির বোল মাছটি ৭৭ হাজার টাকায় কিনেছেন। মাছটি প্রতি কেজি ১ হাজার ৪০০ টাকা দরে স্থানীয় মাছবাজারে কেটে বিক্রির জন্য পৌর এলাকায় দুপুর থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। অনেকে এক-দুই কেজি করে নিতে অগ্রিম টাকা দিচ্ছেন। সন্ধ্যার পর টেকনাফ বাসস্ট্যান্ড মাছবাজারে মাছটি কেটে বিক্রি করা হবে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, গত দুই থেকে তিন বছরে এত বড় মাছ কেটে বিক্রি হয়নি। বড় মাছ, তাই অনেকে কেনার জন্য বিক্রেতার কাছে আগাম টাকা দিয়ে যাচ্ছেন।
টেকনাফ উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, জেলের বড়শিতে ৯১ কেজি ওজনের একটি বড় বোল মাছ ধরার খবর শুনেছেন। সাধারণত এত বড় মাছ ধরা পড়ে না। তবে শীত মৌসুমে কিছু বড় বোল মাছ জেলেদের জালে আটকা পড়ে। তিনি বলেন, সাগরের মাছ ধরার ওপর বিভিন্ন সরকারি নিষেধাজ্ঞা যথাযথভাবে পালিত হওয়ায় মাছগুলো বড় হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। আবার বড় মাছ জেলেদের জাল বা বড়শিতে আটকা পড়লে জেলেরা ভালো দাম পাচ্ছেন।