অ্যানড্রয়েড ফোনের পর্দায় সবুজ বিন্দু, হ্যাকিংয়ের শিকার হতে পারেন আপনিও

0
158
অ্যানড্রয়েড ফোনের পর্দায় সবুজ বিন্দু

অ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলা স্মার্টফোনের পর্দার ওপরের দিকে সবুজ বিন্দু দেখা দিলে হ্যাকিংয়ের শিকার হওয়ার শঙ্কা থাকে। এমন সবুজ বিন্দু দেখা দিলে লুকিয়ে কেউ ব্যবহারকারীর স্মার্টফোনের ক্যামেরা বা মাইক্রোফোন সেন্সর ব্যবহার করে আড়িপাততে পারেন। সাধারণত স্মার্টফোন থেকে কল করা ও রেকর্ড করার সময় পর্দার ওপরে ডান দিকে এ ধরনের সবুজ বিন্দু দেখা যায়। তবে কল করা বা রেকর্ড করার সময় ছাড়া অন্য সময় এ ধরনের সবুজ বিন্দু দেখলে স্মার্টফোনে নজরদারির অ্যাপ থাকার শঙ্কা থাকে।

এ ধরনের নজরদারির শঙ্কা থাকলে স্মার্টফোনের সেটিংস থেকে ফোনে ক্যামেরা এবং মাইক্রোফোনের ব্যবহারের অনুমতি কোন কোন অ্যাপের রয়েছে, তা দেখে নেওয়া যেতে পারে। তবে কোনো অ্যাপে এ ধরনের অনুমতি দেওয়া না থাকলে সতর্ক হতে হবে।

সাইবার স্মার্টের সহপ্রতিষ্ঠাতা জ্যামি আখতার বলেন, প্রায়ই পর্দার ওপরে সবুজ বিন্দু দেখা দিলে উদ্বেগ তৈরির মতো কিছু থাকে না। তবে আপনি যদি সত্যিই সন্দেহজনক কিছু পেয়ে থাকেন, তবে দ্রুত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সাধারণত তৃতীয় পক্ষের তৈরি অ্যাপ ভয়েস সেন্সর ব্যবহার করলে এ ধরনের বিন্দু দেখা যায়। এ ধরনের কোনো অ্যাপে যদি মাইক্রোফোন বা ক্যামেরা সেন্সর ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া না থাকে, তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে। কেউ নজরদারি করছে এমন সন্দেহ তৈরি হলে স্মার্টফোনে প্লে প্রটেক্ট দিয়ে ম্যালওয়্যার স্ক্যান দিতে হবে। অবশ্যই অন্য যন্ত্র থেকে ই–মেইলের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে হবে। আর স্মার্টফোন ‘ফ্যাক্টরি রিসেট’ করতে হবে।

পর্দার ওপরে সবুজ বিন্দু দেখা দিলে ওপর থেকে সোয়াইপ করে কোন অ্যাপ মাইক্রোফোন বা ক্যামেরা সেন্সর ব্যবহার করছে, তা দেখে নেওয়া যায়। আইকনটিতে ট্যাপ করলে অ্যাপের নামও দেখা যাবে। এখান থেকে অ্যাপের মাইক্রোফোন বা ক্যামেরা সেন্সর ব্যবহারের অনুমতি বন্ধও করা যাবে। ফোনের অ্যাপে ব্যবহারকারীর যেসব তথ্যে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া রয়েছে, তা দেখতে ফোনের সেটিংস থেকে প্রাইভেসি নির্বাচন করে পারমিশন ম্যানেজারে ট্যাপ করে পরবর্তী পেজে যেতে হবে। সেখানে ক্যামেরা ও মাইক্রোফোন সেন্সরে কোনো অ্যাপ প্রবেশ করতে পারবে তা দেখা যাবে।
সূত্র: ডেইলি মেইল

আহসান হাবীব

রম্য লেখক ও কার্টুনিস্ট

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.