শুরুতেই অভিনয়ে বলেন নিজের ভয়ের কথা, ‘নতুন কিছু করার আগে সবচেয়ে ভয় লাগে—দর্শক কীভাবে এটা গ্রহণ করবেন। তার ওপর একেলির সঙ্গে কোনো বড় নাম জড়িয়ে নেই। তাই জানি না দর্শক ছবিটি দেখতে আসবেন কি না।’
এর আগে ‘ছোরি’, ‘জনহিত মে জারি’ ছবি দুটি নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন নুসরাত। এ নিয়ে তৃতীয়বার সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রে তিনি।
তাঁর কথায়, ‘তৃতীয়বার এই সুযোগ পেলাম, ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ। সত্যি বলতে আমি গর্বিত।’ নারীপ্রধান ছবির প্রসঙ্গে নুসরাত বলেন, ‘এ ধরনের ছবিতে অভিনয় করা আমার কাছে সত্যি চ্যালেঞ্জিং। বাকি নায়িকাদের কথা বলতে পারব না। এখন একটা ছবি ভালো না মন্দ তার মানদণ্ড বক্স অফিসের আয়। আমি বুঝতে পারি না, দর্শক যদি ছবিটি দেখতে না যান, তাহলে কি করে বলতে পারেন যে ছবিটি ভালো নয়।’
ছবি হিট হওয়ার জন্য বড় তারকা না ভালো কনটেন্ট জরুরি? এ বিষয়ে নুসরাত বলেন, ‘সব ক্ষেত্রেই সবার আগে দর্শকের সাপোর্ট প্রয়োজন। বিশেষ করে ছোট ছবির ক্ষেত্রে দর্শকের আরও বেশি সমর্থন জরুরি।
আমার মতে, একটা ছবি বক্স অফিসে হিট হওয়ার জন্য তারকা আর কনটেন্ট দুই-ই জরুরি। আমাকে ভালো কনটেন্টের পাশাপাশি বড় তারকার ছবি সমানভাবে আকৃষ্ট করে।’
নুসরাত জানান, ইন্ডাস্ট্রিতে শুরুর দিনগুলোতে তাঁর পাশে কেউ ছিল না। তিনি বলেন, ‘“একেলি” ছবির জ্যোতির মতো আমিও আমার ভ্রমণ একাই শুরু করেছিলাম। নিজের সিদ্ধান্ত নিজেকেই নিতে হয়েছিল। কারোর সমর্থন পাইনি। তাই সংগ্রাম এখনো চলছে। তবে এর সংজ্ঞা নিশ্চয় বদলে গেছে।’
একটু অভিমানের সুরে তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে ছবিতে চূড়ান্ত করার পর তা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তার কারণ জানা নেই।
আমার জায়গায় অন্য কোনো নায়িকাকে নেওয়া হয়েছে। তবে আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে বুঝেছি, জীবনে যা ঘটে তা ভালোর জন্যই। তাই ছোটখাটো বিষয় নিয়ে আক্ষেপ করা বন্ধ করে দিয়েছি। তবে এই ভ্রমণ আমাকে ঋদ্ধ করেছে।’