রাশিয়ার সামরিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সব স্বেচ্ছাসেবককে দেশটির জাতীয় পতাকার সামনে শপথ নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আজ শুক্রবার রাশিয়ার রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত বার্তা সংস্থা তাসের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তাসের প্রতিবেদনে বলা হয়, এ–সংক্রান্ত আদেশ দিয়ে একটি ডিক্রি জারি করেছেন পুতিন। এর আওতায় পড়বেন ইউক্রেন যুদ্ধে সামরিক কাজে অংশগ্রহণকারী, সেনাবাহিনীর সহায়তাকারী এবং আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা দলগুলোতে কাজ করা রুশ নাগরিকেরা।
এ শপথের অর্থ কী, তা পরিষ্কার নয়। তবে এমন এক সময় পুতিন এ আদেশ দিলেন, যখন ভাগনার যোদ্ধারা নেতৃত্বের ঘাটতিতে রয়েছেন। গত বুধবার রাশিয়ার রাজধানী মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে যাওয়ার পথে একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়। সেটির ১০ আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন। উড়োজাহজাটির যাত্রীতালিকায় ছিল ভাগনারপ্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিনের নামও।
ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর পক্ষে হয়ে লড়াই করে ভাগনার গ্রুপ। কয়েক মাস আগে ভাগনারকে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে আনার চেষ্টা করেছিল মস্কো। সেবার ভাগনারকে মন্ত্রণালয়ের অধীনে আনতে গত ১ জুলাইয়ের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল প্রিগোশিনকে। ওই চুক্তির প্রতি সমর্থন ছিল পুতিনের। তবে প্রিগোশিন নারাজ ছিলেন। এরপর গত জুনে ভাগনার যোদ্ধাদের নিয়ে রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন প্রিগোশিন।
প্রিগোশিনের বিদ্রোহের কারণে তাঁর ওপর চটেছিলেন পুতিন। বিদ্রোহের পর একে ‘পেছন থেকে ছুরিকাঘাত’ বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি। ওই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে পুতিনের নির্দেশে প্রিগোশিনের উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত করানো হয়েছে বলে অভিযোগ পশ্চিমা অনেক দেশ ও বিশ্লেষকদের। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে মস্কো। এমনকি প্রিগোশিনের মৃত্যু নিশ্চিত করে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি তারা।