ভারতের পর বাংলাদেশের আরেক প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারও চাল রপ্তানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করছে। আজ শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক খবরে বলা হয়েছে, অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাল রপ্তানিতে সাময়িক বিধিনিষেধ আরোপের পরিকল্পনা করছে মিয়ানমার। মিয়ানমার রাইস ফেডারেশনের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে গত ২০ জুলাই বাসমতী ছাড়া সব ধরনের চাল রপ্তানি বন্ধ করে বিশ্বের শীর্ষ চাল রপ্তানিকারক দেশ ভারত।
মিয়ানমার রাইস ফেডারেশনের ওই কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ‘চলতি মাসের শেষ দিক থেকে আমরা সাময়িক সময়ের জন্য চাল রপ্তানি সীমিত করব। প্রায় ৪৫ দিন তা বলবৎ থাকবে।’ দেশের বাজারে চালের দাম বাড়তে থাকায় কর্তৃপক্ষ রপ্তানিতে লাগাম টানছে বলেও জানান তিনি।
মিয়ানমার বিশ্বের পঞ্চম শীর্ষ চাল রপ্তানিকারক দেশ। যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি দপ্তর থেকে দেওয়া সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, মিয়ানমার প্রতিবছর গড়ে ২০ লাখ টন চাল রপ্তানি করে থাকে।
বর্ষা মৌসুমে ভারী বৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কথা জানিয়েছে চাল রপ্তানি বন্ধ করেছে ভারত সরকার। দেশটির এ সিদ্ধান্তে বিশ্ববাজারে চালের সরবরাহ এক কোটি টন বা ২০ শতাংশ কমেছে।
চাল রপ্তানিতে লাগাম টানতে মিয়ানমারের এ পরিকল্পনা প্রসঙ্গে মুম্বাইভিত্তিক একজন রপ্তানিকারক রয়টার্সকে বলেছেন, ‘মিয়ানমার বৈশ্বিক চালের বাজারে ভারত অথবা থাইল্যান্ডের মতো বড় খেলোয়াড় নয়। কিন্তু মিয়ানমার এমন এক সময় এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, যখন বিশ্ববাজারে চালের সরবরাহ কমে গেছে। দেশটির এই পদক্ষেপে বৈশ্বিক চালের বাজারে অস্থিরতা বাড়বে। এতে ক্রেতাদেরও উদ্বেগ বাড়বে।’