ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে নতুন নীতি গ্রহণ করার ফলে রাজধানীর বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। সেই সঙ্গে একটু বাড়তির দিকে রসুন ও আদার দাম। বাজারে অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম উচ্চ মূল্যে স্থিতিশীল হয়ে আছে। মাছ, মাংস ও ডিমের বাজারও চড়া। এর মধ্যে সবজির দামও স্বস্তি দিচ্ছে না ক্রেতাদের। সব মিলিয়ে বাজারে বড় কোনো সুখবর নেই।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মহাখালী ও তেজগাঁও কলমিলতা বাজার ঘুরে ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা কেজি। আর আমদানি করা পেঁয়াজের দাম পড়ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১৫ টাকার মতো।
এদিকে খুচরা বাজারে দেশি ও আমদানি করা রসুনের দাম গত সপ্তাহ থেকে কেজিতে ২০ টাকার মতো বেড়েছে। উভয় পদের রসুনের এখন ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে আদার দাম বেড়েছে ১০ থেকে ৩০ টাকা। বাজারে আমদানি করা ও দেশি আদা মানভেদে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
মহাখালী বাজারে আলম স্টোরের বিক্রেতা আলমগীর হোসেন বলেন, পেঁয়াজের দাম আবার বেড়েছে। আদা ও রসুনের দামও বাড়তি। অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম আগের মতোই আছে।
বাজারে সবজির দাম বেশি। হাতেগোনা কয়েক পদের সবজি পাওয়া যাচ্ছে কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে পেঁপে, ঢ্যাঁড়স ও পটোল। বেগুনের দাম সবচেয়ে বেশি। ৮০ থেকে ১০০ টাকা। আলুর দামও বাড়তি। আলুর দাম এখন ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ।
বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় সব ধরনের মসুর ডালের দাম কেজিতে ৫ টাকার মতো বেড়েছে। চাল, আটা, ময়দা ও সয়াবিনের মতো অন্যান্য নিত্যপণ্য উচ্চ মূল্যে স্থিতিশীল। মাছ, মাংস ও ডিমের দাম সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। গরুর মাংসের কেজি এখন ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা। ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। সোনালি মুরগি ৩০০ টাকার ওপরে।
ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। ইলিশের সরবরাহ একটু বাড়লেও দামে বড় কোনো পরিবর্তন আসেনি। এক কেজির ইলিশ এখনো দেড় হাজার টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। তাতে অন্যান্য মাছের দামও চড়া। সস্তার মাছ বলতে পাঙাশ আর তেলাপিয়া। তা–ও ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি। রুই মাছের কেজি সাড়ে ৩০০ টাকার নিচে নেই।
তেজগাঁওয়ের বাসিন্দা আহসান হাবীব বলেন, চাল, ডাল, মাছ ও মাংস কিনে সংসারের অন্যান্য ব্যয় সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ছোট চাকরিজীবীদের জন্য কষ্টটা বেশি।