দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আবার ঢাকা থেকে জাপানের নারিতায় সরাসরি ফ্লাইট চালু করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে এই গন্তব্যে ফ্লাইট চলাচল শুরু হবে।
উদ্বোধনী ফ্লাইটে সাধারণ যাত্রী ছাড়াও পাঁচ দিনের অতিথি হিসেবে জাপানে যাচ্ছেন প্রায় ৭১ জনের একটি বিশাল বহর। উদ্বোধনী ফ্লাইটে এত অতিথি যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বিমান-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এই বিশাল বহরের যাওয়া-আসার টিকিট, হোটেলে থাকা ও খাওয়ার খরচ বিমান কর্তৃপক্ষকে বহন করতে হবে। যদিও বিমান কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, অতিথি কতজন যাবেন, সেটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। আগামী রোববার অতিথিদের তালিকা চূড়ান্ত করা হবে।
ঢাকা-নারিতা গন্তব্যের উদ্বোধনী ফ্লাইটে পাঁচ দিনের জন্য যেসব অতিথি যাবেন, তাঁদের যে প্রাথমিক তালিকা করা হয়েছে, তাতে বিভিন্ন খাতের ৭১ জনের কথা বলা আছে। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও উল্লেখ আছে।
পাঁচ ভাগে অতিথিদের তালিকা করা হয়েছে। এর মধ্যে সরকারের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধির তালিকায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী, এই মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, বিমানের চেয়ারম্যান, পরিচালনা পর্ষদের সদস্যসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের ১০ জনের নাম রয়েছে, এটা আরও বাড়তে পারে বলে উল্লেখ আছে। তালিকার দ্বিতীয় ভাগে রয়েছে ২১ জন গণমাধ্যমকর্মীর নাম। উদ্বোধনী ফ্লাইটের সহযোগিতার জন্য বিমানের টিমে রয়েছে ২৪ জনের নাম।
বিমানের টিকিট বুকিংসহ অনলাইনভিত্তিক পরিষেবার কাজ পাওয়া জিডিএস (গ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম) কোম্পানির ৪ জন ও বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্টের ১০ জনের নাম অতিথির তালিকায় আছে।
এ বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শফিউল আজিম গতকাল বৃহস্পতিবার বলেন, ‘ফ্লাইট উদ্বোধন উপলক্ষে অনেকগুলো অনুষ্ঠান ও চুক্তি হবে। এ জন্য অনেক লোকের প্রয়োজন হয়। প্রয়োজনের বাইরে কাউকে নেওয়া হচ্ছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘অতিথিদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করবে জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স ও ব্যবসায়ীরা। আমরা শুধু অতিথিদের টিকিটের ব্যবস্থা করছি।’
১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ বিমানের ঢাকা-টোকিও ফ্লাইট চালু হয়েছিল। ১৯৮১ সালে সাময়িক বিরতির পর তা আবার চালু হয়। তখন ঢাকা-নারিতা গন্তব্যে সেই ফ্লাইট চলত। ক্রমাগত লোকসানের কারণে ২০০৬ সালে এই গন্তব্যে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ করে দেয় বিমান। ১৭ বছর পর আবার সেই গন্তব্যে ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে বিমান।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শফিউল আজিমের বরাত দিয়ে গতকাল ইউএনবির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উদ্বোধনী ফ্লাইটটি ১ সেপ্টেম্বর রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করবে। ২ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে জাপানের নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে। ওই দিন নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে ফ্লাইট বিজি-৩৭৭ যাত্রা করবে।

















