ছয়শ’ রানের ম্যাচ। শেষ ওভার। ক্রিজে শেষ ব্যাটার। এক বলে যেকোন দিকে ঘুরে যেতে পারে ম্যাচ। ভক্তদের বুকে কাঁপন তোলা এমন ম্যাচে এক বল থাকতে ১ উইকেটের জয় পেয়েছে পাকিস্তান। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে সিরিজ।
কঠিন ম্যাচটা এক হাত বেরই করে ফেলেছিলেন আটে ব্যাট করতে নামা লেগ স্পিনার শাদাব খান। ৩৫ বলে ৪৮ রান করে ক্রিজে ছিলেন তিনি। শেষ ওভারে দুই উইকেট হাতে নিয়ে ১০ রান করতে হতো তাদের।
শাদাব নন স্ট্রাইক প্রান্তে থাকায় স্ট্রাইক যাওয়ার তাড়ায় ছিলেন। সেটাই পাকিস্তানের জন্য বিপদ ডেকে আনে। শেষ ওভারে বোলিংয়ে আসেন ফজল হক ফারুকি। প্রথম বল ডেভিলারির আগে ক্রিজ ছেড়ে দেওয়ায় শাদাবকে রান আউট ( মানকাড) করে দেন আফগান পেসার।
জমে যায় ম্যাচ। ওই সময় স্নায়ু ঠান্ডা রেখে দলকে জয় এনে দেন ২০ বছরের নাসিম। স্ট্রাইকে থাকা এই তরুণ ফারুকির প্রথম বলে চার মেরে ম্যাচ সহজ করে ফেলেন। দ্বিতীয় বলে ডট ও তৃতীয় বলে নেন সিঙ্গেল। চতুর্থ বলে হ্যারিস রউফ তিন রান তুলে নেন। পঞ্চম বলে চার মেরে নাসিম ব্যাট ফেলে দু’হাত প্রসারিত করে ছুটে যান ডাগ আউটের দিকে। সাক্ষী হন দুর্দান্ত এক জয়ের।
বৃহস্পতিবার হাম্বানতোতায় অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩০০ রান তোলে আফগানিস্তান। দলটি ওপেনিং জুটি থেকে ৩৯.৫ ওভারে পায় ২২৭ রান। ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান ৮০ রানের ইনিংস খেলেন।
অন্য ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ সাজঘরে ফেরার আগে ১০০ স্ট্রাইক রেটে খেলেন ১৫১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। তার ব্যাট থেকে ১৪টি চার ও তিনটি ছক্কার শট আসে। পরে মোহাম্মদ নবী ২৯ ও হাসমতউল্লাহ শাহেদি ১৫ রানের ইনিংস খেলেন।
জবাব দিতে নেমে পাকিস্তানও ভালো শুরু করে। দলকে ৫২ রানের জুটি দিয়ে ফখর জামান ব্যক্তিগত ৩০ রান করে ফিরে যান। ১৭২ রানে ভাঙে পাকিস্তানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি। বাবর আজম আউট হন ৫৩ রান করে।
এরপর বিপর্যয়ে পড়ে পাকিস্তান। মিডল অর্ডারের তিন ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান (২), আগা সালমান (১৪) ও উসামা মীর (০) ব্যর্থ হন। তাদের পথ ধরে সাজঘরে ফেরেন একপ্রান্ত দিয়ে দলকে ভরসা দিয়ে যাওয়া ওপেনার ইমাম উল হক। তিনি খেলেন ১০৫ বলে চারটি চারের শটে ৯১ রানের ইনিংস।
এরপর ইফতিখান ১৭ রান করে ফিরলে হারের শঙ্কায় পড়ে যায় পাকিস্তান। কিন্তু শাদাব খান ফিফটি ছোঁয়া রান তুলে দলকে জয়ের প্রান্তে নিয়ে আসেন। আফগানিস্তানের হয়ে এই ম্যাচে পেসার ফারুকি তিন উইকেট নিয়েছেন। মোহাম্মদ নবী নিয়েছেন দুই উইকেট।