সেলিন ডিওনকে বলা হয় ‘পাওয়ার ব্যালাডের রানী’। চমৎকার কণ্ঠের অধিকারী এ শিল্পী পপ, রক, আরঅ্যান্ডবি, গসপেল, এমনকি ক্লাসিক্যালেও দক্ষ। তাঁর রেকর্ডগুলো ইংরেজি ও ফরাসি দুই ভাষায়ই হয়েছে। যদিও তিনি স্প্যানিশ, ইতালীয়, জার্মান, লাতিন, জাপানি ও চীনা ভাষায় গাইতে পারেন। ১৯৯০ সালে প্রকাশিত প্রথম ইংরেজি ভাষার অ্যালবাম ‘ইউনিসন’ তাঁকে একজন প্রকৃত শিল্পীর মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করে। ১৯৯৩ সালে প্রকাশিত ‘কালার অব মাই লাভ’ তাঁকে পপ গানের জগতে সুপারস্টারের মর্যাদা দেয়।
বিশ্বনন্দিত এই কণ্ঠশিল্পী দীর্ঘদিন ধরেই স্টিফ পারসন সিনড্রোমে আক্রান্ত, যার কারণে সংগীত জগৎ থেকে আড়ালেই রয়েছেন তিনি। যত সময় যাচ্ছে, তাঁর শরীর আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। সম্প্রতি মার্কিন একাধিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, টাইটানিকখ্যাত এই গায়িকা শারীরিক দুর্বলতার কারণে বাড়ি ছেড়ে বাইরে যেতে পারছেন না। প্রায় ৬০০ দিন হয়ে গেছে তিনি জনসমক্ষে কোনো ছবি তোলেননি। বাড়িতেই সময় কাটাচ্ছেন। তার হাঁটতে সমস্যা হচ্ছে, পিঠ কুঁজো হয়ে গেছে এবং পেশির খিঁচুনি মাঝে মাঝে অসহ্য মাত্রায় চলে যাচ্ছে। যে কারণে তিনি চলতি বছরের মে মাসে শো স্থগিত করেছিলেন।
বর্তমানে গীতিকার বোন লিন্ডার সঙ্গে তাঁর বাড়িতে বসবাস করছেন। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে সেলিন ডিওন নিজের অসুস্থতার খবর প্রকাশ্যে আনেন। সেলিন জানিয়েছেন, তিনি বিরল এক অসুখে আক্রান্ত। নাম স্টিফ পারসন সিনড্রোম [এসপিএস]। এটি স্নায়ুর খুবই বিরল এক অসুখ। এটিকে এক ধরনের অটোইমিউন ডিসঅর্ডারও বলেন চিকিৎসকরা। গায়িকা জানিয়েছেন, গান গাওয়া বা মঞ্চে পারফর্ম করা তো দূরের কথা, তাঁর স্বাভাবিক জীবনই ব্যাহত হয়েছে।