রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১ সেপ্টেম্বর তারুণ্যনির্ভর সমাবেশ এবং ২ সেপ্টেম্বর সুধীজন জনগণকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাবেশ করবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবন মিলনায়তনে দলের কেন্দ্রীয় নেতারে সঙ্গে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী জেলার নেতাদের মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আগামী ২ সেপ্টেম্বর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন উপলক্ষে রাজধানীর আগারওগাঁওয়ে অনুষ্ঠেয় জনসভার প্রস্তুতি উপলক্ষে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আাগামী নির্বাচন সামনে রেখে আমেরিকার ভিসানীতির কঠোর সমালোচনা করে সেতুমন্ত্রী বলেন, অনেক দেশে নির্বাচন হচ্ছে। পৃথিবীর কোথাও ভিসানীতি যায় না। শুধু কী বাংলাদেশকেই পেয়ে বসেছেন? পরিষ্কার জানিয়ে দিচ্ছি- আওয়ামী লীগ বন্ধুহীন নয়। দেশেও নয়, বিদেশেও নয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমেরিকা ভিসানীতি দিয়েছে। এই বুঝি নিষেধাজ্ঞাও দিলো! কে কী দিলো- সেসব নিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা মাথা ঘামান না।
তিনি বলেন, ২ সেপ্টেম্বর রাজধানী মহাসমুদ্র দেখবে, জনতার মহাসমুদ্র। আগামী সেই মহাসমুদ্র দেখার অপেক্ষায় আছি। আওয়ামী লীগ আদর্শ পাতাকাবাহী সংগঠন। আমরা একাত্তরের সন্তান; ৭৫ এর সন্তান; তিন নভেম্বরের সন্তান; একুশ আগস্টের সন্তান। আমাদের চেতনায়, আমাদের হৃদয়ে অনেক বেদনা।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব) মো. ফারুক খান, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাপা, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, উপ প্রচার সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, মোহাম্মদ এ আরাফাত প্রমুখ।
এছাড়াও বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীর প্রতীক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।