পরীক্ষা দিতে এসে ছাত্রলীগের হামলার শিকার হয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের এক নেতা। মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্বরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। কিন্তু ঘটনার পর উল্টো হামলার শিকার শিক্ষার্থীকেই পুলিশে সোপর্দ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আবু হেনা মুরসালিন নামে ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি জবির সমাজকর্ম বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
প্রত্যেক্ষ্যদর্শীরা জানায়, পরীক্ষা শেষ করে ক্যাম্পাস থেকে বের হওয়ার সময় ছাত্রলীগ কর্মীরা বাঁশের লাঠি দিয়ে মুরসালিনের ওপর হামলা চালায়। তারা সকলেই জবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম আক্তার হোসাইনের অনুসারী।
সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রাজিনা সুলতানা বলেন, মোরসালিন মিডটার্ম পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার পরই হামলার শিকার হয়। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, মারধর খবর পেয়ে আমি সহকারী প্রক্টরকে পাঠাই। পরে ওই শিক্ষার্থীকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তবে তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা না থাকায় আমরা তাকে ছেড়ে দেওয়ায় সুপারিশ করেছি।
রাজনৈতিক কারণে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে কেউ কোনো শিক্ষার্থীকে মারধর করতে পারে কি-না তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ক্যাম্পাস সকলের। এভাবে কেউ কাউকে মারধর করতে পারে না। ওই শিক্ষার্থী অভিযোগ করলে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব।
সদরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই (উপপরিদর্শক) হাসান মাতবর বলেন, প্রক্টর ওই শিক্ষার্থীকে আমার কাছে বুঝিয়ে দেয়। আমি তাকে আমার হেফাজতে রেখেছি।
জবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম আকতার হোসাইন বলেন, ক্যাম্পাসে কোনো মারধর বা হামলার ঘটনা ঘটলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। শিক্ষার্থীদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দের দায় ছাত্রলীগ নেবে না।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসলাম বলেন, পরীক্ষা দিতে এসে আমাদের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কতিপয় ছাত্রলীগ কর্মী দ্বারা আহত হলো। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হামলায় আহত শিক্ষার্থীকেই পুলিশের হাতে তুলে দিলো। আমরা জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এর আগেও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ছাত্রদলের কয়েকজনকে পরীক্ষার হলে ঢুকে মেরে আহত করেছে বলে জানান তিনি।