থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা স্বেচ্ছা নির্বাসনে ১৫ বছর বিদেশে থাকার পর দেশে ফিরেই গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাকে এখন আদালতে নেওয়া হচ্ছে। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর আল-জাজিরার
আজ মঙ্গলবার বার্তাসংস্থা এএফপি জানায়, পার্লামেন্টে থাকসিনের দলের মনোনীত প্রার্থীকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ দেওয়ার ভোট শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টার একটু আগে থাকসিনকে বহনকারী বিমান ব্যাংককের ডন মুয়াং বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এর আগে তার বোন, থাইল্যান্ডের আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা টিকটকে একটি ভিডিও পোস্ট করেন, তাতে ঘন নীল স্যুট ও লাল টাই পরা থাকসিনকে ছোট একটি বিমানের সিঁড়ি বেয়ে উঠতে দেখা যায়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করা ইংলাকের আরেকটি পোস্টে দেওয়া ছবিতে থাকসিনকে সিঙ্গাপুরে তার ব্যক্তিগত বিমানের ভেতরে বসে থাকতে দেখা যায়। এই পোস্টে ইংলাক বলেন, ‘যে দিনটির জন্য আমার ভাই অপেক্ষা করছিল তা এসেছে।’
ডন মুয়াং বিমানবন্দরে নামার পর কিছুক্ষণের জন্য তাকে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা যায়। এ সময় তিনি পুয়ে থাইয়ের নির্বাচিত আইনপ্রণেতা ও উপস্থিত শত শত উৎফুল্ল সমর্থকদের উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান। এরপর আবার বিমানবন্দরের টার্মিনালের ভেতরে চলে যান।
৭৪ বছর বয়সী থাকসিন থাইল্যান্ডের দুবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ২০০৬ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন।
‘দুর্নীতির’ মামলায় কারাগারে যাওয়া এড়াতে ২০০৮ সালে থাকসিন দেশ ছাড়েন। তার পর থেকে তিনি দেশের বাইরে স্বেচ্ছানির্বাসনে ছিলেন।
থাকসিনের অনুপস্থিতিতে বিচারে একাধিক ফৌজদারি মামলায় তিনি দোষী সাব্যস্ত হন। তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের আরও মামলা রয়েছে।
থাকসিন আগেই বলেছেন, তিনি দেশে ফিরে বিচারের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত। একই সঙ্গে মামলাগুলোকে তিনি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করে আসছেন।