টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানার ইরতা সাকিন গ্রামে ২০১৮ সালের জুলাই মাসে খুন হয়েছিল স্কুলছাত্র মোহাইমিনুল ইসলাম হামিম (১৫)। এ হত্যা মামলাটির তদন্ত এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। আজকালের মধ্যে ঘটনার মূল আসামি ইমনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে তদন্ত সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তদন্তে উঠে এসেছে, একতরফা প্রেমের বলি হয় হামিম।
সিআইডি সূত্র জানায়, ঘটনার সময় হামিম ছিল টাঙ্গাইল সৃষ্টি একাডেমি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র। বয়সে অন্তত তিন বছরের বড় জেলা সদরের আকুরটাকুরপাড়ার এক কলেজছাত্রীকে পছন্দ করত সে। এ জন্য মাঝেমধ্যে ওই তরুণীর বাড়ির আশপাশে গিয়ে আড্ডা দিত। একদিন আড্ডায় হামিমের সঙ্গে পরিচয় হয় পিকআপভ্যানের হেলপার ১৭ বছর বয়সী ইমনের সঙ্গে। সে ইমনকে সম্বোধন করত বড় ভাই বলে। কিন্তু হামিম জানতো না ইমন সেই তরুণীকে পছন্দ করে। আবার হামিম বা ইমন কারও কথাই জানতো না মেয়েটি। এক পর্যায়ে ইমন মেয়েটিকে নিয়ে হামিমের অনুভূতির কথা জানতে পেরে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। নিজের ভালোবাসার মানুষকে হামিম কেন পছন্দ করবে, এ নিয়ে ইমন মনে মনে কষ্ট পেতে থাকে। এর জেরে ২০১৮ সালের ১৭ জুলাই মেয়েটির সঙ্গে সাক্ষাৎ করিয়ে দেওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হামিমকে পিটিয়ে ও গলা কেটে খুন করে ইমন।
নিহত হামিমের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলা সদরের পূর্ব আদালতপাড়ায়। হত্যার ঘটনায় হামিমের বাবা শফিকুল ইসলাম নাগরপুর থানায় মামলা করেছিলেন। পরে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ইমনকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরই মধ্যে ইমন হত্যার কথা স্বীকার করে টাঙ্গাইল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। সে বর্তমানে জামিনে আছে।