কক্সবাজারের টেকনাফে এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ২ কেজি ৪০০ গ্রাম ওজনের ২টি ইলিশ মাছ। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নাফ নদীতে জাল ফেলার পর রাত ৯টার দিকে মাছ দুটি ধরা পড়ে। জেলের কাছ থেকে ছয় হাজার টাকায় মাছ দুটি কিনে নেন টেকনাফ পৌরসভার বাসস্টেশন এলাকার মাছ ব্যবসায়ী মোজাহার আলম। আজ শুক্রবার সকালে তিনি উপরের বাজারে জোড়া ইলিশের দাম হাঁকেন ১২ হাজার টাকা।
স্থানীয় জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জীবিকার তাগিদে গতকাল সন্ধ্যায় ছোট একটি নৌকা নিয়ে তাঁদের একজন জেলে প্যারাবনসংলগ্ন নাফ নদীতে জাল ফেলেন। রাত ৯টার পর জাল তুলে দেখেন প্রায় আড়াই কেজি ওজনের বড় দুটি ইলিশ ধরা পড়েছে। দেরি না করে ভেজা কাপড়েই ওই জেলে চলে আসেন টেকনাফ পৌরসভার বাসস্টেশন মাছ বাজারে। সেখানে মোজাহার আলম মাছ দুটি কিনে নেন।
মোজাহার আলম বলেন, প্রতি কেজি আড়াই হাজার টাকা দরে তিনি দুটি মাছের দাম হাঁকাচ্ছেন ১২ হাজার টাকা। গতকাল রাত বেশি হওয়ায় ক্রেতা কমে গিয়েছিল। তাই মাছ দুটি ভালোভাবে বরফ দিয়ে রাখা হয়। আজ সকালে বিক্রির জন্য বাজারে আনা হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে এখন দেড় থেকে দুই কেজি ওজনের ইলিশ দুই হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে আড়াই কেজির ইলিশ খুব কমই ধরা পড়ে। বড় আকৃতির ইলিশ দুটি দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। এমন বড় ইলিশ তো আর প্রতিদিন দেখতে পাওয়া যায় না। তাই বিক্রেতা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে জানান আরেক মাছ ব্যবসায়ী কালা মিয়া।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, এর আগে গত মঙ্গলবার নাফ নদী থেকে আড়াই কেজির ওজনের আরেকটি ইলিশ ধরা পড়েছিল। নাফ নদীতে ছয় বছর মাছ ধরা বন্ধ ছিল। বর্তমানে নাফ নদী ইলিশের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। সাধারণত আড়াই কেজির ইলিশের দেখা সহজে মেলে না।
রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ও ইয়াবা পাচার ঠেকাতে ২০১৭ সালের এপ্রিলের শুরু থেকে নাফ নদীতে মাছ ধরা বন্ধ করে দেয় বিজিবি। সেই থেকে প্রায় ছয় বছর মাছ ধরা বন্ধ নাফ নদীতে। কিছু জেলে জীবিকার তাগিদে রাতের অন্ধকারে মাছ শিকার করেন। তবে মিয়ানমারের জেলেরা অবাধে নাফ নদী থেকে মাছ শিকার করে নিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান কয়েকজন মাছ ব্যবসায়ী।