রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শস্য চুক্তি ভেস্তে যাওয়ার পর ওডেসা বন্দর ছাড়ল প্রথম জাহাজ

0
203
বুধবার ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর ছাড়ে হংকং পতাকাবাহী শস্যবোঝাই জাহাজটি

রাশিয়া কৃষ্ণসাগরীয় খাদ্যশস্য চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর প্রথমবার ওডেসা বন্দর ছেড়ে গেল একটি জাহাজ। বুধবার ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর ছাড়ে হংকং পতাকাবাহী শস্যবোঝাই জাহাজটি।

ফেসবুকে পোস্টে অবকাঠামোমন্ত্রী ওলেক্সান্ডার কুব্রাকভ বলেছেন, হংকং পতাকাবাহী জাহাজ জোসেফ শুল্টে খাদ্যপণ্যসহ ৩০ হাজার টন মালপত্র নিয়ে বসফরাস প্রণালির দিকে রওনা হয়েছে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে সর্বাত্মক আক্রমণ শুরু করলে জাহাজটি ইউক্রেনের বন্দরে আটকা পড়ে। যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবার ভাসল এটি। গত বছরের জুলাইয়ে জাতিসংঘের মধ্যস্থতা ও তুরস্কের উদ্যোগে রাশিয়া ও ইউক্রেন কৃষ্ণসাগর দিয়ে ইউক্রেনীয় খাদ্যশস্য রপ্তানির চুক্তি করেছিল। এর আওতায় কয়েক লাখ টন ময়দা, গমসহ বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি হয়েছে। চুক্তির অধীনে কৃষ্ণসাগর দিয়ে রাশিয়াও নিজেদের খাদ্যশস্য ও সার রপ্তানি করার সুযোগ পায়।

কিন্তু চুক্তির শর্ত মানা হচ্ছে না অভিযোগ তুলে বেরিয়ে যায় মস্কো। এ অবস্থায় রাশিয়া সতর্ক করেছে, ইউক্রেনের দিকে যাওয়া জাহাজগুলো অস্ত্র বহন করছে বলে গণ্য করা হবে। গত রোববার ইউক্রেন অভিমুখে একটি তুর্কি পতাকাবাহী জাহাজ লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে সতর্কবার্তা পাঠায় রুশ যুদ্ধজাহাজ। এ ঘটনাকে জলদস্যুতা আখ্যা দিয়ে নিন্দা জানায় কিয়েভ।

এদিকে রাশিয়া মস্কোর দক্ষিণ-পশ্চিমে ইউক্রেনের তিনটি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বুধবার টেলিগ্রামে এ কথা জানিয়ে বলেছে, ভোর ৫টার দিকে ইউক্রেন কালুগা অঞ্চলে তিনটি ড্রোন দিয়ে হামলা চালায়। রাশিয়া আকাশ প্রতিরক্ষা পদ্ধতি দিয়ে যথাসময়ে সব ড্রোন শনাক্ত ও ধ্বংস করে বলে মন্ত্রণালয় উল্লেখ করে।

কালুগার গভর্নর বলেছেন, ওই অঞ্চলের দক্ষিণে ড্রোনগুলো ভূপাতিত করা হয়, যা রাজধানী মস্কো থেকে মাত্র কয়েকশ কিলোমিটার দূরে। চলতি মাসে কালুগা অঞ্চলে ইউক্রেনের অন্তত এটি পঞ্চম ড্রোন হামলা, যা রাশিয়া প্রতিহত করার দাবি করেছে। গত ৩০ জুলাই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সতর্ক করে বলেছিলেন, যুদ্ধ এখন রাশিয়ার দিকে আসছে। দেশটির প্রতিটি বিভিন্ন কেন্দ্র এবং সামরিক ঘাঁটিকে লক্ষ্যবস্তু করা হবে।

রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ক্ষেত্রে বারবার কৌশল বদলাচ্ছে। এর ফলে কিয়েভের পক্ষে সেগুলো প্রতিহত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। সম্প্রতি নতুন করে রুশ হামলা বেড়ে যাওয়ার পর মঙ্গলবার এমনটাই বলছেন ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা। ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল ইউরি ইগান্ট বলেন, মস্কোর সেনারা যতটা সম্ভব দক্ষতার সঙ্গে আমাদের আকাশ প্রতিরক্ষাকে পাশ কাটিয়ে, দুর্বল স্থানগুলো ব্যবহার করে এবং গোয়েন্দা তথ্য কাজে লাগিয়ে তাদের ক্ষেপণাস্ত্রের লক্ষ্যভেদ নির্ভুল করার চেষ্টা করছে। তাদের ক্ষেপণাস্ত্র অনবরত রুট পরিবর্তন করছে। খবর সিএনএন ও রয়টার্সের।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.