কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, ‘বিএনপি যদি নির্বাচনে না-ও যায়, দেশের মানুষ যদি ভোট দেয় এবং ভোট যদি চুরি করা না হয়, তাহলে সেটাই হবে সংবিধানমতো নির্বাচন। কিন্তু বেশ কয়েক বছর মানুষ ভোট দিতে পারে না, শয়তানেরা ভোট দেয়। দিনের ভোট রাতে হয়।’
আজ শনিবার বিকেলে টাঙ্গাইল শহরের সোনার বাংলা কমিউনিটি সেন্টারে জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘ভোট চুরি ঠেকাতে নাকি ভোটের দিন সকালে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে। রাতে কোনো কেন্দ্রে ব্যালট পেপার যাবে না। যারা রক্ষক, তারাই যদি ভক্ষক হয়, তাহলে ব্যালট পেপার সকালে গেলেও যা হবে, রাতে গেলেও তা হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে যাবে না—এটা তারা বলতেই পারে। প্রতিটি রাজনৈতিক দল তাদের মতামত ব্যক্ত করতে পারে। আওয়ামী লীগও তো নির্বাচনে না যেতে পারে। বিএনপি-আওয়ামী লীগ যদি নির্বাচনে না যায়। আর দেশে যদি নির্বাচন হয়, সেই নির্বাচনে যদি ভোটাররা অংশ নিতে পারেন এবং অংশগ্রহণমূলক ভোট হয়, তাহলে কারও কোনো দ্বিধা থাকার কথা না।’
নির্বাচনে জোটবদ্ধ হওয়ার বিষয়ে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘গত নির্বাচনে আমরা জোটে গিয়েছিলাম। আজও অনেকে মনে করেন, আমরা বিএনপির জোটে গিয়েছিলাম। আমি এক মুহূর্তের জন্যও বিএনপির জোটে যাইনি। আমি ড. কামাল হোসেনকে দেখে তাঁর নেতৃত্ব মেনে জোটে গিয়েছিলাম।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে সভায় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার বীর প্রতীক, সদস্য শামীম আল মনসুর সিদ্দিকী, দলের জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এ টি এম সালেক, বাসাইল পৌরসভার মেয়র রাহাত হাসান, সখীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ছানোয়ার হোসেন, ঘাটাইল উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন। সভায় দলটির জেলা ও বিভিন্ন উপজেলা শাখার নেতারা অংশ নেন।