আবারও পুরনো জটিলতায় ভুগছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। লিভারের কিছু সমস্যা নতুনভাবে দেখা দিয়েছে। এর ফলে শরীরের ওজন বেড়ে গেছে। শ্বাস প্রশ্বাসে কষ্ট হচ্ছে। প্রেশার ও ডায়বেটিস ওঠানামা করছে। এগুলো নিয়ন্ত্রণে মেডিকেল বোর্ড সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন। এজন্য খালেদা জিয়াকে আরও কয়েকদিন হাসপাতালে থাকতে হবে। তার চিকিৎসরা বিদেশে মাল্টিপুল ডিজিস সেন্টারে চিকিৎসার তাগিদ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘ম্যাডাম সহজে হাসপাতালে যেতে চান না। ১৫দিন পরপর হাসপাতলে গিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে পারলে ভালো হতো। বাসায় রেখে সব চিকিৎসা সম্ভব হয় না। এবার দেড় মাস পর হাসপাতালে এসেছেন। পুরনো জটিলতা দেখা দিয়েছে। ওই চিকিৎসক জানান, খালেদা জিয়ার একাধিক স্বাস্থ্যের একাধিক টেস্ট করানো হয়েছে। এর মধ্যে সিবিসি (ইএসআর), কিডনী টেষ্ট, রক্ত, আল্ট্রাসনোগ্রাম, হার্ট, লিভারের বিভিন্ন টেস্ট রয়েছে।
চিকিৎসক জানান, খালেদা জিয়াকে আরও চার-পাঁচদিন হাসপাতালে থাকতে হবে। লিভারের কিছু চিকিৎসা দেশে নেই। তাই মেডিকেল বোর্ড তাকে উন্নত সেন্টারে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। বোর্ড এ পর্যন্ত দুই দফায় বৈঠক করেছে। যেখানে দেশি বিদেশি ১২ জনের অধিক চিকিৎসক অংশ নেন।
জানা গেছে, খালেদা জিয়ার সঙ্গে হাসপাতালে আছে তার গৃহপরিচারিকা ফাতেমা আক্তার ও স্টাফ রূপা। আর মাসুদ নামে নিরাপত্তারক্ষী গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে হাসপাতালে খাবার নিয়ে যান।
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে পৌঁছান। ৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়া গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে গুলশানে তার বাসা ‘ফিরোজায়’ রয়েছেন। তিনি আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছেন।