বিএনপির বড় বিজয় হয়েছে: মির্জা ফখরুল

0
141
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

ঢাকার প্রবেশমুখে গত ২৯ জুলাই অবস্থান কর্মসূচিতে বিএনপির ‘বড় বিজয়’ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি দাবি করেন, সেদিন প্রমাণ হয়েছে, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। বিরোধীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে গুলি, কাঁদানে গ্যাসের শেল নিয়ে আক্রমণ করে, তা সারা বিশ্ব দেখেছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম এসব কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী জুবাইদা রহমানের মামলার রায়ের প্রতিবাদে এই সভার আয়োজন করেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাবেক নেতারা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের হারানোর কিছু নেই, সময় এখন অর্জনের। ২৯ তারিখের কর্মসূচিতে বিএনপির বিজয় হয়েছে। বিশ্ববিবেক জেগে উঠেছে। তারা বলছে, বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করতে হবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে হবে।’ তিনি বলেন, অতি অল্প সময়ে আওয়ামী লীগ সরকারকে বিদায় করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।

সরকার একটি ভয়ভীতি ও সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে ভয় পায় বলেই তারেক রহমানকে সাজা দিয়েছে। তাতেও ভয় কাটেনি বলে জুবাইদা রহমানকেও সাজা দিয়েছে। নির্বাচনের আগে বিএনপির নেতা-কর্মীদের কারাগারে পাঠানো হচ্ছে।

গত ২৮ জুলাই ঢাকায় মহাসমাবেশ করে বিএনপি। এর পরদিন রাজধানীর চার প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে দলটি। অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিতি ছিল কম। অবস্থান কর্মসূচি ঘিরে দলে ছিল সমন্বয়হীনতা। অবস্থান কর্মসূচির নানা দুর্বলতা সামনে আসে।

আজকের সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খান বলেন, বর্তমান সরকারের সঙ্গে কোনো ধরনের আপসের সুযোগ নেই। চলমান এক দফা দাবি আদায়ের আন্দোলন বিএনপি বা যুবদলের নয়, ১৮ কোটি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন।

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে কোনো অপরাধ না করলেও খালেদা জিয়া ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সাজা পেতে হবে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, ‘রাজনীতি করার কারণে তারেক রহমানকে সাজা দেওয়া হয়েছে, কিন্তু জুবাইদা রহমানকে সাজা দেওয়া হয়েছে কেন, বুঝতে পারি না।’

সভায় সভাপতিত্ব করেন যুবদলের প্রতিষ্ঠাকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মনিরুজ্জামান। সভায় আরও বক্তব্য দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মেহেদী আহমেদ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমুখ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.