বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট বোর্ড ভারতের বিসিসিআই। এ তথ্য নতুন করে জানানোর কিছু নেই। তবু জানাতে হলো। কারণ, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড কতটা ধনী, সেটি জানা গেল এবার।
ভারতের পার্লামেন্ট লোকসভায় কাল উঠে এসেছে বিসিসিআইয়ের ধনসম্পদের হিসাব। সেখানে জানানো হয়েছে, ২০১৭-১৮ থেকে ২০২১-২২—এই পাঁচ বছরে বিসিসিআইয়ের কোষাগারে ১৫০ কোটি মার্কিন ডলার উদ্বৃত্ত ছিল। বাংলাদেশের মুদ্রায় অর্থের পরিমাণ প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার কোটি টাকা।
সাধারণত বিসিসিআই নিজেদের আর্থিক অবস্থা প্রকাশ করে না। তবে এবার লোকসভায় বিসিসিআইয়ের আর্থিক অবস্থা নিয়ে বেশ কয়েকবার আলোচনা হওয়ার পর উঠে এসেছে আর্থিক অবস্থার খবর।
মঙ্গলবার ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের এক মন্ত্রী বিসিসিআইয়ের আয়-ব্যয়ের হাঁড়ির খবর দিয়েছেন। ওই পাঁচ বছরে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ৩৩০ কোটি ডলার বা প্রায় ৩৬ হাজার ১০০ কোটি টাকা আয় করে। ওই সময়ে ব্যয় হয়েছে ১৮০ কোটি ডলার (প্রায় ১৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা)। যার অর্থ পাঁচ বছরে প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার কোটি টাকা উদ্বৃত্ত ছিল বিসিসিআইয়ের কোষাগারে।
এর মধ্যে ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৫৪.৯ কোটি ডলার (প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা) লাভ করেছে বিসিসিআই। ওই এক বছরে ১ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা আয়কর দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
বিসিসিআইয়ের আয় যে ক্রমেই বাড়ছে, সেটি স্পষ্ট। আইসিসির নতুন আর্থিক কাঠামোতে ২০২৪-২৭ সালের চক্রে প্রতিবছর ২৩ কোটি ডলার করে পাবে বিসিসিআই, যা আইসিসির মোট আয়ের ৩৮.৫ শতাংশ। অন্য কোনো বোর্ড ১০ শতাংশও পাবে না। অবশ্য আইপিএল থেকে যে আয় হয় বিসিসিআইয়ের, সেটির তুলনায় আইসিসির কাছ থেকে পাওয়া এ অর্থ বলতে গেলে কিছুই নয়। ২০২২ সালের আইপিএলের সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি করেই ৬২০ কোটি ডলার আয় করেছিলে সংস্থাটি।
সম্প্রচার স্বত্বের আয় আরও বাড়তে পারে বিসিসিআইয়ের। কারণ, আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেটের জন্য আবার দরপত্র আহ্বান করেছে তারা।