রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের পাশে পাটুরিয়াগামী একটি রো রো (বড়) ফেরি থেকে ছিনতাইকারী সন্দেহে এক যুবককে মারধর করে পদ্মায় ফেলে দেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ওই যুবককে নদীতে ভাসতে দেখে স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা তাঁকে উদ্ধার করেন। মারধরের কারণ জানতে পেরে যুবককে নৌ পুলিশে সোপর্দ করেন তিনি।
ওই যুবকের নাম মো. বাঁধন মোল্লা (৩০)। তাঁর বাড়ি বরগুনার তালতলী থানার তালুকদার পাড়ায়।
নৌ পুলিশের ভাষ্য, বাঁধন স্থানীয়ভাবে ছিনতাইকারী হিসেবে পরিচিত। তাঁর বিরুদ্ধে ঢাকার শাহ আলী থানায় একটি মাদক মামলা আছে। প্রায় তিন বছর পর গত সপ্তাহে কারাগার থেকে বের হয়ে দৌলতদিয়ায় আসেন বাঁধন মোল্লা। ফেরির এক নারী যাত্রীর ব্যাগ ছিনতাইয়ে জড়িত থাকায় যাত্রীদের রোষানল থেকে বাঁচতে ওই যুবক পদ্মা নদীতে ঝাঁপ দেন।
তবে বাঁধন মোল্লার দাবি, ছিনতাইকারী সন্দেহে তাঁকে কয়েকজন মারধর করে ফেরির ওপর থেকে ফেলে দিয়েছেন। ফেরিটি ঘাট ছেড়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর এক নারী যাত্রীর একটি ব্যাগ ছিনতাই হয়। এক যুবক ব্যাগটি ছিনতাই করে ধাওয়া খেয়ে তাঁর কাছে রেখে পালিয়ে যান। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ছিনতাইকারী সন্দেহে কয়েকজন তাঁকে মারধর করে ফেরির ওপর থেকে পদ্মা নদীতে ফেলে দেন।
স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা বলেন, ফেরি থেকে পড়ে যাওয়া এক যুবক নদীতে ভাসছে খবর পেয়ে দ্রুত একটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলার নিয়ে উদ্ধার করতে যান। প্রায় ৩০ মিনিটের চেষ্টায় তাঁকে উদ্ধার করে পাড়ে নিয়ে আসেন। আর কিছুক্ষণ থাকলে হয়তো তাঁকে বাঁচানো যেত না। পরে তিনি জানতে পারেন ওই যুবক ছিনতাইকারী, ফেরিতে এক যাত্রীর ব্যাগ ছিনতাই করায় যাত্রীরা তাঁকে মারধর করে ফেলে দিয়েছেন। দৌলতদিয়া নৌ পুলিশকে খবর দিলে তারা ফেরিঘাট থেকে যুবককে নিয়ে যায়।
দৌলতদিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুল কবির বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরামর্শে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে মুচলেকা নিয়ে আজ রোববার ভোরে ওই যুবককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।