পঞ্চগড়ে গভীর রাতে ব্যাংকের ভেতর গুলিবিদ্ধ হয়ে পুলিশ সদস্যের মৃত্যু

0
134
মৃত্যু

পঞ্চগড়ে দায়িত্বরত অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ফিরোজ আহম্মেদ (২৫) নামের এক পুলিশ সদস্যের (কনস্টেবল) মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া দুইটার দিকে পঞ্চগড় জেলা শহরের সোনালী ব্যাংকের ভেতরে গার্ডরুমে এ ঘটনা ঘটে।

নিজের কাছে থাকা রাইফেল দিয়ে গুলি করে ফিরোজ আহম্মেদ আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকালে সুরতহাল শেষে ফিরোজের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

ফিরোজ আহম্মেদ দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার পলি মির্জাপুর এলাকার আবু সাঈদের ছেলে। তিনি সোনালী ব্যাংক পঞ্চগড় শাখার নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন।
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, রাতে সোনালী ব্যাংক পঞ্চগড় শাখার গার্ডরুমে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন ফিরোজ আহম্মেদ। রাত সোয়া দুইটার দিকে হঠাৎ বিকট শব্দ শুনে তাঁর অন্য সহকর্মীরা এসে ফিরোজকে গুলিবিদ্ধ হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। দ্রুত তাঁকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মির্জা সাইদুল ইসলাম বলেন, রাত আড়াইটার দিকে গুলিবিদ্ধ ওই পুলিশ সদস্যকে হাসপাতালে আনা হয়। এর আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে আনার সময় তাঁর মাথা, মুখ, নাক ও কান দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। তাঁর থুতনির নিচে (গলার কাছে) ও মাথায় গুলির ক্ষত ছিল। ময়নাতদন্তসহ অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাঁর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম শফিকুল ইসলাম শুক্রবার সকালে বলেন, ফিরোজ আহম্মেদের থুতনির নিচ দিয়ে গুলি ঢুকে মাথা দিয়ে বের হয়ে গেছে। ঘটনার আগে তিনি মুঠোফোনে কথা বলছিলেন বলে জেনেছেন। এরপর হঠাৎ বিকট শব্দ শুনে তাঁর অন্য সহকর্মীরা গার্ডরুমে দৌড়ে গিয়ে তাঁকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে হাসপাতালে নিয়ে যান। বিষয়টি দেখে মনে হচ্ছে, এটি পুরোপুরি আত্মহত্যা।

এস এম শফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে আরও তদন্ত চলছে। লাশটি প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তে পাঠানো হচ্ছে। পরিবারের লোকজনকে খবর দেওয়া হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে তাঁর লাশ হস্তান্তর করা হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.