হঠাৎ করেই অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজের মাঝপথে তামিমের অবসরের সিদ্ধান্তে অনেকেই অবাক হয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পরদিনই আবার অবসরের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেন।
এরপর তামিম দেড় মাসের ছুটি চান বিসিবির কাছে। ছুটি পেয়ে পরিবার নিয়ে চলে যান দুবাইয়ে। সেখান থেকেই লন্ডনে গিয়ে চিকিৎসক দেখিয়ে গত সোমবার বিকেলে দেশে ফিরেছেন। কিন্তু চোটের অবস্থা খুব একটা ভালো নয় তাঁর। এ কারণেই এবার নিয়েছেন অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত।
সিদ্ধান্তটা অবশ্য একা নেননি তামিম। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানসহ বোর্ডের অন্যান্য কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে লম্বা আলোচনা করেছেন। এমনকি নেতৃত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তামিম ফোন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও কথা বলেছেন।
গুলশানে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের বাসভবনে গত রাতের সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে তামিম বলেন, ‘আজকে (কালকে) আমাদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা মিটিং ছিল জালাল ভাই ও (নাজমুল হাসান) পাপন ভাইয়ের সঙ্গে। আমার সবকিছু নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেছি। আর আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নিজের থেকে ওনাদের বলেছি যে আজ (কাল) থেকে আমি ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি।’
তামিমের রিপোর্ট দেখার পর ‘মেজাজ গরম’ হয়ে গেছে নাজমুলের
তামিম যোগ করেন, ‘আমার চোট একটা কারণ। যে ইনজেকশনটা নিয়েছি ওটা হিট অ্যান্ড মিসের মতো। আমার কাছে দল আগে। দলের কথা চিন্তা করে আমার নেতৃত্ব ছাড়াটা সবচেয়ে ভালো বিষয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছি। উনি বুঝেছেন।’
নেতৃত্ব ছাড়লেও খেলা চালিয়ে যেতে চান তামিম, ‘মূল বিষয় হলো, দলের ভালোর জন্য আমি নেতৃত্ব ছাড়ছি এবং একজন ক্রিকেটার হিসেবে খেলতে চাই।’