জাস্টিন ট্রুডো (৫১) ও সোফি গ্রেগোয়ারের (৪৮) ১৮ বছরের দাম্পত্য জীবনের পর তাঁদের বিচ্ছেদের অপ্রত্যাশিত ঘোষণাটি অনেককেই বিস্মিত করেছে।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো গতকাল বুধবার তাঁর ইনস্টাগ্রামে এ ঘোষণা দেন। সোফিও তাঁর ইনস্টাগ্রামে একই ঘোষণা দিয়েছেন।
ট্রুডো-সোফির দাম্পত্য জীবন অনেকের কাছেই ‘ঈর্ষণীয়’ ছিল। এ নিয়ে হরদম চর্চাও লক্ষ করা গেছে। বিচ্ছেদের ঘোষণার পর তাঁরা নতুন করে আলোচনায়। এ আলোচনায় ট্রুডো-সোফির পরিচয়, প্রেম, বিয়ের প্রসঙ্গও ঘুরেফিরে আসছে।
ট্রুডো-সোফির পরিচয়, প্রেম, বিয়ে নিয়ে আগেও অনেক প্রতিবেদন হয়েছে। এ নিয়ে ২০১৯ সালে একটি প্রতিবেদন করেছিল কানাডার অনলাইন সংবাদমাধ্যম ‘নার্সিটি’।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর বিবাহবিচ্ছেদ
নার্সিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোফির সঙ্গে ট্রুডোর পরিচয়-প্রেম-বিয়ের গল্পটি ছিল অসাধারণ। তাঁরা পরস্পরকে ছোটবেলা থেকেই চিনত, জানত। কারণ, সোফি ছিলেন ট্রুডোর ছোট ভাই মিশেলের সহপাঠী। এমনকি ছোটবেলায় ট্রুডোদের বাড়িতে সোফি আসা-যাওয়া করতেন, আড্ডা দিতেন।
তবে ট্রুডো-সোফি সত্যিকার অর্থে পরস্পরকে ‘জানেন-বোঝেন’ উভয়ে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর।
২০০৩ সালে ট্রুডো ও সোফি একসঙ্গে একটি তহবিল সংগ্রহের অনুষ্ঠানে অংশ নেন। সে সময় তাঁরা একে অপরের সঙ্গে ‘নতুন’ করে পরিচিত হন। তখন তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
কিছুদিন পর ট্রুডোকে ই–মেইল করেন সোফি। ই–মেইলে সোফি লেখেন, ট্রুডোর সঙ্গে দেখা-সাক্ষাতের ব্যাপারটি তিনি উপভোগ করেছেন। কিন্তু সোফির এই ই–মেইলের কোনো জবাব দেননি ট্রুডো।
একই বছরের গ্রীষ্মের শেষ দিকে সড়কে ট্রুডো-সোফি দেখা হয়ে যায়। এ দেখায় ট্রুডোকে উপেক্ষা করতে চেয়েছিলেন সোফি। তবে এবার সোফিকে ট্রুডো তাঁর সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার প্রস্তাব দেন।
সোফি বলেছিলেন, ট্রুডোর যদি সত্যিই তাঁর (সোফি) সঙ্গে বাইরে ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছা থাকে, তবে তিনি যেন তাঁকে (সোফি) সেই ই–মেইলে জবাব দেন।
প্রথম ডেটে সোফিকে ট্রুডো বলেছিলেন, তিনি তাঁর বাকি জীবন সোফির সঙ্গে কাটাতে চান।
ট্রুডো জানিয়েছিলেন, এমন ঘোষণার পর তাঁরা দুজনই কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। কারণ, তাঁরা দুজনই খুব সংবেদনশীল মনের মানুষ ছিলেন।
ট্রুডো-সোফির সম্পর্কের গল্প এগিয়ে চলে।
প্রথম ডেটের এক বছরের বেশি সময় পর সোফিকে বিয়ের প্রস্তাব দেন ট্রুডো। ২০০৫ সালের ২৮ মে তাঁরা গাঁটছড়া বাঁধেন। ১৮ বছরের দাম্পত্য জীবনে তাঁরা তিন সন্তানের মা–বাবা হন।