আগামী জাতীয় নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার আগেই চালু হবে পদ্মা সেতু রেল সংযোগসহ রেলওয়ের চার বড় প্রকল্প। তপশিলের পর উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধনে আইনি বাধা থাকতে পারে– এ আশঙ্কায় সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে প্রকল্পগুলো চালু হতে পারে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল সম্প্রতি জানিয়েছেন, অক্টোবরের শেষে তপশিল এবং ডিসেম্বরের শেষে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হবে। রেল সচিব ড. হুমায়ুন কবীর মঙ্গলবার রেল ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের জানান, পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্প উদ্বোধনে চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সারসংক্ষেপ পাঠানো হবে। সরকারপ্রধানের সময় পাওয়া সাপেক্ষে সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে এটি উদ্বোধন করা হবে। পদ্মা সেতুর মতো রেল সংযোগও জাঁকজমক এবং উৎসবের মাধ্যমে উদ্বোধনের প্রস্তুতি রয়েছে।
ঢাকার কমলাপুর স্টেশন থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার দীর্ঘ রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকায়। আগামী মাসে কমলাপুর থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৮৩ কিলোমিটার রেললাইন উদ্বোধনের প্রস্তুতি নিচ্ছে রেলওয়ে। প্রকল্প পরিকল্পনা অনুযায়ী, পরের বছরের জুনে যশোর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ শেষ হবে। সচিব জানিয়েছেন, এই অংশে রেললাইনের নির্মাণকাজ শেষের দিকে। স্টেশন নির্মাণ বাকি।
১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকায় চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার হয়ে মিয়ানমার সীমান্তবর্তী ঘুমধুম পর্যন্ত ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের বড় অংশই শেষের পথে। সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে রেলওয়ে। ৯২ বছরের পুরোনো চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারী পর্যন্ত ৫২ কিলোমিটার রেলপথে রয়েছে সমবয়সী কালুরঘাট সেতু। সংস্কারের জন্য সেতুটি গতকাল থেকে তিন মাসের জন্য বন্ধ করা হয়েছে।
ড. হুমায়ুন কবীর জানিয়েছেন, ঢাকা থেকে কক্সবাজার নয়; রেলের প্রকল্পে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণ। সেতুর সংস্কার সম্পন্ন না হলেও এ অংশে ট্রেন চলবে।
৪ হাজার ২৬০ কোটি টাকায় মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে খুলনা পর্যন্ত রেললাইন তপশিলের আগেই চালু হবে। ২০১০ সালে অনুমোদিত প্রকল্পে ভারতীয় ঋণে নির্মাণ করা এ রেলপথ সেপ্টেম্বরে চালুর সম্ভাবনা রয়েছে। ভারতীয় অনুদানে নির্মিত আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় উদ্বোধন করা হতে পারে।