দীর্ঘ সাড়ে ৪ বছর পর আগামী বুধবার রংপুর সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জিলা স্কুল মাঠে আয়োজিত বিভাগীয় জনসমাবেশে বক্তব্য দেবেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে রংপুরে স্মরণকালের বৃহত্তম জনসভা করতে কাজ করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। সরকারপ্রধানের আগমনে উত্তরের বিভিন্ন জেলাজুড়ে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। এ কারণে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে পুরো রংপুর শহর।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে রংপুরের অলিগলি পোস্টার-ব্যানার, বিলবোর্ড আর ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। প্রধান প্রধান সড়কে শোভা পাচ্ছে বড় তোরণ। প্রতিটি বিলবোর্ডে প্রধানমন্ত্রীর ছবি। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে সপ্তাহ ধরে। জনসমাবেশের মঞ্চ তৈরির কাজও প্রায় শেষ। সড়কে লাগানো হয়েছে মাইক। সব মিলিয়ে প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে।
প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচি থেকে জানা যায়, তিনি দুপুর সাড়ে ১২টায় তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে রংপুরের উদ্দেশে রওনা দেবেন। পরে রংপুর সার্কিট হাউসে বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে বিকেল ৩টায় প্রধানমন্ত্রী রংপুর জিলা স্কুল মাঠের জনসভায় যোগ দেবেন। এ সময় তিনি রংপুর বিভাগের উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।
রংপুরে প্রধানমন্ত্রীর জনসমাবেশে বিভাগের বিভিন্ন এলাকা থেকে অংশ নিতে আসা মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে আটটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষে আটটি বিশেষ ট্রেন হলো– পঞ্চগড় স্পেশাল, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, বুড়িমারী, লালমনিরহাট, উলিপুর, কুড়িগ্রাম ও বোনারপাড়া স্পেশাল। এসব ট্রেন সকাল সোয়া ৯টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে রংপুরে পৌঁছাবে।