আওয়ামী লীগের তিন সংগঠন—যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের আয়োজনে শান্তি সমাবেশ থেকে ক্যাম্পাসে ফিরে সংঘর্ষে জড়ানোর অভিযোগে কবি নজরুল সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাত নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের উপদপ্তর সম্পাদকের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শৃঙ্খলাপরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে ছাত্রলীগের কবি নজরুল সরকারি কলেজ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক রাফি উজ সাকলাইন, কর্মী তন্ময় হোসেন, রুদ্র দেব নাথ, মিঠু হোসেন, ফয়সাল মাহমুদ, আশিকুর রহমান ও আশরাফ পাটোয়ারীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হলো।
শান্তি সমাবেশ থেকে ফিরে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বেলায়েত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক হাওলাদারের অনুসারীদের মধ্যে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ১০ থেকে ১৫ জন আহত হন।
কবি নজরুল সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সমাবেশে যাওয়ার পথে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। বিষয়টি সেখানেই জ্যেষ্ঠ নেতারা সমাধান করে দেন। সমাবেশ শেষে ক্যাম্পাসে পৌঁছে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কর্মীদের কাছ থেকে বিদায় জানিয়ে চলে যান।
নেতা-কর্মীরা জানান, কবি নজরুল সরকারি কলেজ ছাত্রসংসদের কক্ষটি ছাত্রলীগ তাদের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করে। ওই কক্ষে সাধারণ সম্পাদকের তিন থেকে চারজন অনুসারী আড্ডা দিচ্ছিলেন। কিছু সময় পর সভাপতির কয়েকজন অনুসারী সেখানে এসে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান। একপর্যায়ে আবার হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি জানাজানি হলে সাধারণ সম্পাদকের অন্য অনুসারীরা ক্যাম্পাসে আসেন। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।