সাধারণ যানবাহনে শিশুদের জন্য সুরক্ষিত আসনের ব্যবস্থা থাকলে সড়ক দুর্ঘটনায় ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে প্রায় ৭০ শতাংশ এবং বড় শিশুদের ক্ষেত্রে প্রায় ৫৪ থেকে ৮০ শতাংশ মৃত্যুর হার কমে আসবে। গ্লোবাল রোড সেফটি পার্টনারশিপের এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
রোববার রাজধানীর শ্যামলী ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টর আয়োজিত ‘নিরাপদ সড়ক জোরদারকরণে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনাসভায় এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় প্রতিষ্ঠানটির রোড সেফটি প্রকল্পের সমন্বয়কারী শারমিন রহমান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা ৫-২৯ বছর বয়সীদের মৃত্যুর অন্যতম কারণ। বিশ্বে মানুষের মৃত্যুর অষ্টম বৃহত্তম কারণ সড়ক দুর্ঘটনা।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্যমতে, ২০২২ সালে বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৭ হাজার ৭১৩ জন। এর মধ্যে তিন মাস থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুর সংখ্যা ১ হাজার ১৪৩। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) বলছে, যানবাহনে শিশুবান্ধব আসনের ব্যবহার শিশুদের সড়ক দুর্ঘটনায় আঘাতের ঝুঁকি ৭১ শতাংশ থেকে ৮২ শতাংশ কমিয়ে দেয়। গেল বছরের ২৭ ডিসেম্বরে গেজেট আকারে প্রকাশিত বিধিমালায় শিশুযাত্রীর জন্য সিটবেল্ট বাঁধা-সংক্রান্ত নির্দিষ্ট বিধান কর্তৃপক্ষ প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জারির কথা বললেও শিশু আসনের বিষয়ে কোনো বিধান এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
শারমিন রহমান বলেন, উচ্চগতির যুগে চালকদের বেপরোয়ায়, ভ্রমণের সময় শিশুর ঝুঁকি বেড়ে যায়। অতএব, শিশুদের নিরাপদ পরিবহনের জন্য, শিশুদের উপযোগী সুরক্ষিত আসন অত্যন্ত জরুরি। সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-তে শিশুদের সুরক্ষিত আসন নিয়ে কিছু বলা নেই। কিন্তু দেশের যানবাহনে শিশু আসন খুবই জরুরি। বিষয়টি অগ্রাধিকার দিয়ে যানবাহনে (বিশেষ করে ছোট গাড়িতে) শিশুদের জন্য সুরক্ষিত আসন প্রচলনে আইন আবশ্যক।