ডেঙ্গুতে মৃত্যু বেশি নারীদের

0
140
ডেঙ্গু

ডেঙ্গুতে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত মারা যাওয়া ১৬৭ জনের মধ্যে ৯৫ জনই নারী।

দেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা বেশি, তবে মারা যাচ্ছেন বেশি নারীরা। আবার কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী বেশি আক্রান্ত হচ্ছে ডেঙ্গুতে।

ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, আক্রান্ত ব্যক্তিদের ৬৩ দশমিক ৫ শতাংশ পুরুষ। আর চলতি বছরে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ১৬৭ জনের মধ্যে ৯৫ জনই নারী। অন্যদিকে আক্রান্ত রোগীর অর্ধেকই ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী।

গত শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গুতে দেশে আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৯ জন ঢাকার বাসিন্দা ও ঢাকার বাইরের ২ জন। এ নিয়ে চলতি বছরে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ১৬৭ জন। এর মধ্যে ১২০ জনের মৃত্যু হয়েছে চলতি জুলাই মাসের ১ থেকে ২২ তারিখের মধ্যে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ২ হাজার ২৪২ জন। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ২৩৯ জন। ঢাকার বাইরে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও এক হাজার তিনজন।

সব মিলিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ৩০ হাজার ৬৮৫ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার হাসপাতালগুলোতে ১৮ হাজার ৮৮৫ জন এবং ঢাকার বাইরের ১১ হাজার ৮০০ জন।

গতকাল রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে যান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বাইরে বেশি চলাচলের কারণে পুরুষ ও কর্মক্ষম ব্যক্তিরা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন বেশি। মানুষ কলকারখানা, অফিস–আদালতে কাজ করছেন। সেখান থেকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন বেশি। এসব প্রতিষ্ঠানকে মশকনিধনের জন্য আহ্বান জানান তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীর চাপ বেশি; কারণ হাসপাতালটির আশপাশের অঞ্চলে ঘনবসতি রয়েছে এবং ওই অঞ্চল ডেঙ্গুর ‘হট স্পট’ হয়ে গেছে। ওই সব এলাকায় মশকনিধনে যে পরিমাণে ‘স্প্রে’ (মশা মারার ওষুধ ছিটানো) করার দরকার, সেটা হয়তো হয়ে ওঠেনি। ওই এলাকাকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে মশকনিধনে জোর দিতে সিটি করপোরেশনকে অনুরোধ জানান তিনি।

ডেঙ্গু পরিস্থিতি জরুরি অবস্থা ঘোষণার পর্যায়ে যায়নি বলে মনে করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, এমন অবস্থা হয়নি যে রোগীরা চিকিৎসা পাচ্ছেন না। এমন অবস্থা হবে না বলেও আশা তাঁর। তবে তিনি বলেন, এখন থেকেই সতর্ক থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। অন্যান্য দেশের তুলনায় জনসংখ্যার হিসাবে বাংলাদেশে রোগী কমই আছে। তবে গত বছরের চেয়ে চলতি বছর আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ১৫ গুণ বেশি।

মুগদা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের ২৫ শতাংশই শিশু। এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্কুলগুলোতে মশকনিধনের ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.