কম্বোডিয়ায় ৩৮ বছর ক্ষমতায় থাকা হুন সেন আবারও প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন?

0
152

গণতন্ত্র, নির্বাচন, ভোটাধিকার– এর সবই যেন কাগুজে বিষয় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ কম্বোডিয়ায়। দেশটিতে গত ৩৮ বছর প্রধানমন্ত্রীর পদ দখল করে আছেন ক্ষমতাসীন কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টির (সিপিপি) নেতা হুন সেন। যিনি ১৯৮৫ সালে ৩৩ বছর বয়সে ক্ষমতায় বসে দেশটিতে গণতন্ত্রের নামে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করেছেন। আজ দেশটিতে অনুষ্ঠিত সপ্তম জাতীয় সাধারণ নির্বাচনেও তিনি ও তাঁর দল সরকার গঠন করবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, এরই মধ্যে আদালতকে ব্যবহার করে বিরোধী রাজনৈতিক দল ও নেতাকর্মীকে একেবারে নিঃশেষ করে দিয়েছেন হুন সেন। ফলে এই নির্বাচনও ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মতোই হবে বলে ধারণা বিশ্লেষক ও রাজনীতিবিদদের। তারা বলছেন, অন্য সব স্বৈরশাসকের মতোই হুন সেনও কখনোই ক্ষমতা ছাড়বেন না। খবর সিএনএন ও বিবিসির।

২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে তিনি আদালতকে ব্যবহার করে বিরোধী দল ভেঙে দেন। শুধু তাই নয়, বিরোধী দলের এমপি পদমর্যাদার নেতাদের সংসদ সদস্যপদ বাতিল করা হয়। কারাবন্দি করা হয় অন্য নেতাদের। প্রতিপক্ষকে নির্মূল করে ছয় মাস পর নির্বাচন দেন তিনি। ওই নির্বাচনে ভোট কারচুপি করে সংসদের ১২৫টি আসনের সবকটিতেই জয়ী ঘোষণা করা হয় হুন সেনের দল সিপিপিকে।

এই নির্বাচনের আগেও ক’দিন ধরে বিরোধীদের ওপর চালানো হয়েছে চরম ধরপাকড়। আজকের নির্বাচন কেমন হবে, সে সম্পর্কে দেশটির সাবেক মহিলা ও প্রবীণবিষয়কমন্ত্রী মু সোচুয়া বলেন, হুন সেন কখনোই ক্ষমতা ছাড়বেন না। এই নির্বাচন হুন সেনের জন্য কম্বোডিয়ার জনগণের ওপর তাঁর পছন্দ চাপিয়ে দেওয়ার দিন ছাড়া আর কিছুই নয়।   রাজধানী নমপেনের এক ভোটার বলেন, এই নির্বাচন আসলে অর্থহীন। এতে সংসদে গিয়ে জনগণের কথা বলার মতো কেউ নেই। তাই মানুষের আগ্রহও নেই।

দীর্ঘ শাসনে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাকে ব্যবহার করে কম্বোডিয়ার ক্ষমতা ধরে রেখেছেন হুন। এখন নিজের ছেলেকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে ক্ষমতা ছাড়তে চান তিনি। আজকের নির্বাচনে তাঁর ছেলে সেনা কর্মকর্তা হুন মানেত এমপি পদে দাঁড়িয়েছেন।

এশিয়ার দরিদ্রতম দেশগুলোর একটি কম্বোডিয়া। দেশটি ডুবেছে নানা দুর্নীতি ও অনিয়মে; নেই কোনো জবাবদিহিও।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.