সিলেটে দাম্পত্য কলহের জেরে ছুরিকাঘাতে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে বিশ্বজিৎ দেবনাথ (২৬) নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে সিলেট সুরমা গেট এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে গতকাল বেলা আড়াইটার দিকে নগরের শাহপরাণ মেজরটিলা এলাকার নাথপাড়ায় শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে বিশ্বজিৎ দেবনাথ পালিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। বিশ্বজিৎ দেবনাথ সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বাসিন্দা। নিহত শিমলা রানী নাথ (২১) মেজরটিলা এলাকার নাথপাড়া জিতেন্দ্র দেবনাথের মেয়ে।
পুলিশ ও শিমলা রানীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিশ্বজিৎ দেবনাথ বর্তমানে মেজরটিলার নুরপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। প্রায় আট মাস আগে শিমলার সঙ্গে বিশ্বজিৎ দেবনাথের বিয়ে হয়। বিশ্বজিৎ কাজকর্ম করতেন না। তবে শিমলা নগরের নয়াসড়ক এলাকার একটি দোকানে কাজ করতেন। পাশাপাশি স্নাতকে অধ্যয়ন করছিলেন। বিয়ের পর থেকে স্বামীকে কাজ করার তাগাদা দিচ্ছিলেন স্ত্রী। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়। এর জেরে সম্প্রতি শিমলা রানী নাথ বাবার বাড়ি মেজরটিলার নাথপাড়ায় চলে আসেন।
শুক্রবার বেলা দুইটার দিকে বিশ্বজিৎ দেবনাথ স্ত্রীকে বুঝিয়ে বাড়িতে ফিরিয়ে নিতে নাথপাড়ায় যান। এ সময় একটি কক্ষে দুজনে কথা বলছিলেন। একপর্যায়ে স্বামী-স্ত্রীর কথা-কাটাকাটি হয়। এ সময় স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান বিশ্বজিৎ। পরে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা শিমলাকে উদ্ধার করে সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
সিলেটের শাহপরাণ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অনুপ চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের পর বিশ্বজিৎ দেবনাথকে গ্রেপ্তারের অভিযান চালান। বিভিন্ন তথ্য সূত্র ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে গতকাল রাত ১১টার দিকে শাহপরাণ সুরমা গেট এলাকা থেকে বিশ্বজিৎকে গ্রেপ্তার করা হয়। স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বিশ্বজিৎ দেবনাথ।
শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল খায়ের জানান, নিহত নারীর মরদেহ সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের মর্গে রয়েছে। আজ শনিবার ময়নাতদন্ত শেষে লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।