ভারতের কর্ণাটকের উপ-মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা ডি কে শিবকুমার দেশের সবচেয়ে ধনী বিধায়ক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। তার সম্পদের পরিমাণ এক হাজার চারশ কোটি টাকার বেশি। অন্যদিকে সবচেয়ে দরিদ্র বিধায়ক পশ্চিমবঙ্গের ইন্দাস আসনের বিজেপে বিধায়ক নির্মল কুমার ধারা। তার সম্পদের পরিমাণ মাত্র এক হাজার সাতশ টাকা। অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মসের (এডিআর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া যায়। খবর নিউজ নিউজ ১৮
এডিআরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের পরবর্তী দুই ধনী বিধায়কও কর্ণাটকের। ধনী বিধায়কদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন নির্দল বিধায়ক কেএইচ পুট্টস্বামী গৌড়া। তার ঘোষিত সম্পদের পরিমাণ এক হাজার ২৬৭ কোটি টাকা। তারপর আছেন, কংগ্রেস বিধায়ক প্রিয় কৃষ্ণ। তার সম্পদদের পরিমাণ এক হাজার ১৫৬ কোটি টাকা।
এডিআরের প্রতিবেদনের বিষয়ে শিবকুমার বলেন, আমি সবচেয়ে ধনী নই। দীর্ঘ সময় ধরে আমি এই সম্পদ অর্জন করেছি। আমার সব টাকা শুধু আমার নামেই আছে। আমি সবচেয়ে ধনী বিধায়ক নই, দরিদ্রও নই।
ধনী ১০ বিধায়কের মধ্যে চারজন আছেন কংগ্রেসের, তিনজন বিজেপির। এই নিয়ে এরই মধ্যেই দুই দলের মধ্যে বাকযুদ্ধ শুরু হয়েছে।
কংগ্রেসের বিধায়ক রিজওয়ান আরশাদ বলেন, শিবকুমার ব্যবসা করেন। তিনি যদি বিপুল সম্পদ অর্জন করে থাকেন, এতে দোষের কিছু নেই। তিনি আঙুল তুলেছেন বিজেপি বিধায়কদের সম্পদের দিকে।
রিজওয়ান আরশাদ বলেন, খনি কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্তদের সম্পদের কোনো হিসাব নেই।
বিজেপি পাল্টা জবাবে বলেছে, যারা খনির কেলেঙ্কারিতে জড়িত ছিল, তাদের প্রত্যেকের বিচার হয়েছে। গেরুয়া শিবির অভিযোগ করেছে, কংগ্রেস আসলে ধনীদের দল, ধনীদের ভালোবাসে।
অন্যদিকে, সবচেয়ে দরিদ্র বিধায়কের তালিকায় রয়েছেন- পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি বিধায়ক নির্মল কুমার ধারা, ওড়িশার নির্দল বিধায়ক মকারান্দা মুদুলি, পঞ্জাবের আপ বিধায়ক নরিন্দর পাল সিং সাওনারা। নির্মল কুমার ধারার মোট ঘোষিত সম্পদ মাত্র এক হাজার সাতশ টাকা। ওড়িশার মকরন্দ মুদুলির রয়েছে মাত্র ১৫ হাজার টাকা। পঞ্জাবের আপ বিধায়কের সম্পত্তির পরিমাণ ১৮ হাজার ৩৭০ টাকা।
২৮টি রাজ্য বিধানসভা ও দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের চার হাজার একজন বিধায়কের তথ্য বিশ্লেষণ করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।