ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ বলছে, তাঁরা মূল হামলাকারী।
এ নিয়ে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় মোট নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
গতকাল রাতে গ্রেপ্তার দুজন হলেন মানিক গাজী ও আল আমিন।
বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বলেন, হামলার সময় হিরো আলমের কোমর ধরে রেখেছিলেন মানিক, আর হিরো আলমকে মারধর করেছেন আল আমিন। ক্লোজড সার্কিট (সিসিটিভি) ক্যামেরায় ধারণ করা ফুটেজে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। মানিক ও আল আমিনকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানিয়ে তাঁদের আদালতে হাজির করা হবে।
এর আগে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় গত মঙ্গলবার সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা হলেন ছানোয়ার কাজী (২৮), বিপ্লব হোসেন (৩১), মাহমুদুল হাসান (২৭), মোজাহিদ খান (২৭), আশিক সরকার (২৪), হৃদয় শেখ (২৪) ও সোহেল মোল্লা (২৫)। তাঁদের মধ্যে দুজনকে রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। বাকি পাঁচজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
হিরো আলমের ওপর হামলাকারী আরও ১৫ জনের খোঁজ পেয়েছে পুলিশ
ওসি মোস্তাফিজুর বলেন, রিমান্ডে থাকা ছানোয়ার কাজী ও বিপ্লব হোসেন জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে বলেছেন, হিরো আলমের ওপর হামলায় আরও ১৫ জন জড়িত। তাঁদের নাম–পরিচয়সহ বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেছে। এখন তাঁদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গ্রেপ্তার মাহমুদুল হাসান, মোজাহিদ খান, আশিক সরকার ও হৃদয় শেখ বনানী থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ মেহেদীর অনুসারী।
গত সোমবার ঢাকা-১৭ আসনের ভোট গ্রহণ চলাকালে বেলা সোয়া তিনটার দিকে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে যান হিরো আলম। এ সময় নৌকা প্রতীকের কর্মী ও সমর্থকেরা পেছন থেকে তাঁর উদ্দেশে গালাগাল করতে থাকেন এবং কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে কেন্দ্রটির দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা হিরো আলমকে ঘিরে রেখে স্কুলের ফটকের দিকে নিয়ে যান।
ভোটকেন্দ্রের ভেতর থেকে ধাওয়া দিয়ে বাইরে আনার পরে রাস্তায় ফেলে ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমকে পেটান নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকেরা।