সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও বুশরা বিবির ‘অবৈধ বিয়ের’ অভিযোগ গ্রহণ করেছেন পাকিস্তানের একটি দেওয়ানি আদালত। আগামীকাল বৃহস্পতিবার তাঁদের আদালতে তলব করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানী ইসলামাবাদের একটি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিষয়টি উত্থাপিত হয়। এ নিয়ে সেখানকার সিভিল জজ কুদরাতুল্লাহ এই আদেশ দেন।
এর আগে গত সপ্তাহে মামলাটি দেওয়ানি আদালতের বিচারকের কাছে স্থানান্তর করেন ইসলামাবাদের অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট অ্যান্ড সেশনস জজ মুহাম্মদ আজম খান। পাশাপাশি এ বিবাহের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা একটি নালিশি মামলাকে অগ্রহণযোগ্য বলে দেওয়ানি আদালতের দেওয়া একটি রায় খারিজ করে দেন তিনি।
ওই মামলার বাদী মুহাম্মদ হানিফ দাবি করেছেন, বুশরা বিবির সঙ্গে তাঁর সাবেক স্বামীর বিচ্ছেদ হয় ২০১৭ সালের নভেম্বরে। এরপর তিনি ইদ্দত (বিচ্ছেদ হওয়া নারী ৩ মাস ও বিধবা নারী ৪ মাস ১০ দিন সময়ের মধ্যে বিয়ে না করার বিধান) সম্পন্ন না করেই ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি ইমরান খানকে বিয়ে করেন, যা ইসলামিক বিধান (শরিয়া) ও মুসলিম রীতিনীতিবিরোধী। এ বিষয়ে বাদী বিয়ে পরিচালনাকারী মুফতি মুহাম্মদ সায়িদ ও বিবাহের সাক্ষী ইমরানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু আউন চৌধুরীর বক্তব্য আদালতে জমা দিয়েছেন।
মুফতি সায়িদ জানিয়েছেন, ইমরান খান সবকিছু জেনেই বুশরা বিবিকে বিয়ে করেছেন। তিনি বুশরার বোন দাবি করা এক নারীর কথার ভিত্তিতে ওই বিয়ে পড়িয়েছিলেন। অবশ্য পরবর্তী মাসে (ফেব্রুয়ারি, ২০১৮) ইদ্দতের বিষয়টি উল্লেখ করে ইমরান খান তাঁকে আবারও তাঁদের বিয়ে পড়ানোর জন্য অনুরোধ করেন।
ফেব্রুয়ারিতেই ইমরান এই বিয়ের কথা জনসমক্ষে ঘোষণা করেন এবং লাহোরে বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান করেন।
মুফতি সায়িদ বলেন, প্রথম বিয়ের সময় বুশরার ইদ্দত সম্পন্ন হয়নি। সুফিবাদী ধারার ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত বুশরাকে বিয়ে করলে প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন, এমন ধারণা থেকে ইমরান প্রথমবার তাঁকে বিয়ে করেছিলেন।